বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত বাবা-মায়ের কোল থেকে শিশু চুরি ও হত্যার ঘটনায় নবজাতকের পিতা সুজন খাঁনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাচা রিপন খাঁন ও শিশুর ফুফা হাসিব শেখসহ তিন জনেরই ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। এর আগে বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির পিতা, চাচা ও ফুফাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। শিশুটি বাবা-মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়। পরে তিনদিন পর গতকাল বুধবার সকালে ওই বাড়ির পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বাবা-মায়ের কোল থেকে নবজাতক খোয়া যাওয়ার ঘটনার তিনদিন পর পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নবজাতকের পিতা সুজন খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুরে আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে তিনি জানান। সোমবার রাতে নবজাতক চুরির ঘটনায় শিশুটির দাদা মো. আলী হোসেন খান বাদী অজ্ঞাত নামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ঘুমন্ত বাবা-মায়ের কোল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় নবজাতকের পিতা সুজন খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাচা রিপন খাঁন ও শিশুর ফুফা হাসিব শেখসহ তিনজনেরই ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করা হবে। ওই টেস্ট পাওয়ার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শিশু সোহানাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির। সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, ময়নাতদন্তে শিশুটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আর এ আঘাতের কারণে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খান ও শান্তা আক্তার দম্পতির সন্তান দম্পতির সাথে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ দিনের সন্তান সোহানা। রবিবার মধ্যরাতের কোনো এক সময় মা-বাবার মাঝ থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে হত্যা করা হয়।