স্বদেশ কন্ঠ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর রহমান: সর্বদা যার মুখে এক চিলতে হাসি দেখা যায় তিনিই হলেন আবুল হোসেন মজুমদার। তার হাসির প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ কমই আছে। আসছে ১ ফেব্রুয়ারী সম্পাদক,অভিনয় শিল্পী আবুল হোসেন মজুমদারের জন্মদিন। তিনি একাধারে একজন সফল সংঘটক ও সাংবাদিক। রাজনৈতিক প্রাঙ্গনেও যার আছে ব্যাপক সফলতা। তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন পাশাপাশি গান লিখেছেন, গান গেয়েছেন। তার সম্পাদনায় বের হয়েছে বই মেলায় অসংখ্য বই। শোবিজের অনেক তারকার নেপথ্যে ছিলেন আবুল হোসেন মজুমদার। শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ে শেষ নয় তিনি প্রযোজন হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মানও করেছেন শীঘ্রই নতুন সিনেমা তার প্রযোজনায় নির্মান হতে যাচ্ছে।
১৯৬৮ তিনি মরকটা সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়, চিওড়া কলেজ,চট্রগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সিটিউট,মরকটা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা,লাকসাম গাজীমুড়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। সাংবাদিকতার হাতেখড়ি কুমিল্লা অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক ফলক এর সম্পাদক আফতাবুল ইসলামের কাছে।
পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করেন কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদে। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা দৈনিক লাল সবুজ,দৈনিক স্বাধীন বাংলা,দৈনিক বিকাল বার্তা, পাক্ষিক তারকা বানী,দৈনিক ইনকেলাব,দৈনিক আমাদের সময়,দৈনিক আমাদের অর্থনীতিে কাজ করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পাক্ষিক আনন্দ বিনোদন ডিক্লেয়ারেশন প্রাপ্ত হয়ে সম্পাদক হোন, পরবর্তী সময়ে তার সম্পানায় যোগ হয় পাক্ষিক বিনোদনধারা, বিনোদন ভুবন,বিনোদন জগত,বিনোদন আলো,চাওয়া পাওয়া,গোয়েন্দা রিপোর্ট, চৌদ্দগ্রাম সংবাদ।
তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এর স্থায়ী সদস্য,নিজে বিনোদ সাংবাদিকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস),আর্টিষ্ট জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (এজেএফবি)। বর্তমানে তিনি স্থায়ী সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন(ডিইউজে)বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) পরপর ৪বার নির্বাচন কমিশনার বাচসাস।
দেশবরেণ্য গুণী সাংবাদিক,সম্পাদক,অভিনয় শিল্পী আবুল হোসেন মজুমদার ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন কর্মি, যিনি ১৯৮০ সালে চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা মুজিবুল হক মুজিব এর কর্মি হিসেবে ছাত্রলীগ যোগ দেন, ১৯৮১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মরকটা মুজিব সেনা সংসদ। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের সহ-সম্পাদক ছিলেন,জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতে প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগ।
তিনি আশির দশক থেকে মুজিবুল হক মুজিবের কর্মি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
সংগঠক হিসেবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। সফলতার উপহার স্বরুপ দেশ-বিদেশে পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার।
স্বদেশ কন্ঠকে তিনি জানান- ১ ফেব্রুয়ারি আমার ৫৪ তম জন্মদিন অর্থাৎ ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী। এই করোনাকালে কোভিডমুক্ত সুস্থ জীবনই এ পর্যন্ত আমাদের সুসংবাদ। পরম করুণাময়ের কাছে এজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
জন্মদিন উপলক্ষ্য করে আমি আপনাদের নিকট দোয়া প্রত্যাশা করছি। আমার ৫৩ বছরের জীবনে ৩৫ বছর কেটেছে সম্পাদক হিসেবে এবং সাংবাদিকতার বহুমুখী কাজে।
পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী সাংস্কৃতিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সফল রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপির কর্মী হয়ে সাবেক যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে রাজপথে লড়াই সংগ্রামের এই রক্তাক্ত সাগরে ক্ষত বিক্ষত আমি যেন লক্ষ্যের কিনারা শীঘ্রই দেখতে পাই, জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার জন্য সকলের নিকট শুভেচ্ছা ও সমর্থন প্রার্থনা করি।
এই অসাধারণ মানুষগুলোর প্রতি জন্মদিন উপলক্ষ্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক,জন্মদিনে তাকে জানাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।