দিল্লির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তুলে ধরে চীন নিয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের মন্ত্রী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে চীনারা ঢাকাকে প্রভাবিত করে এই সম্পর্কে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, এমন উদ্বেগও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।

বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলম বলছিলেন, ‘(চীন) তারা ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা ও প্রশস্ততার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। এটা ঐতিহাসিক এক বন্ধন। দুই দেশের সৈন্যদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এমন এক বন্ধন যার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জন্ম এবং স্বাধীনতা লাভ করেছে। যে বন্ধন অবিচ্ছেদ্য এবং অন্য কোন সম্পর্কের সাথে যার তুলনা হয় না।’

এই বছর বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বছর উদযাপন করছে এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতে অংশ নিতে মার্চ মাসে ঢাকা সফর করবেন। উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেছে এবং সংযোগ সুবিধা বাড়াতে বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে, ১৯৬৫ সালের পূর্বের রেল ও সড়ক যোগাযোগগুলোকে সংস্কার  করছে।

চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ (বিআরআই) বিষয়ে তিনি বলেন, “বেজিংয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভারত এবং অন্য সকলের জন্য বড় আগ্রহের বিষয় ….আমরা বিআরআই-কে একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতার উদ্যোগ হিসেবেই দেখছি এবং আমরা কোন প্রতিরক্ষা বা সামরিক উদ্যোগে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করিনি এবং আমরা এখনও সেরকম কিছু দেখিনি। আমরা দেখতে পেয়েছি,  ইউরোপের অন্যান্য দেশ এমনকি প্রতিবেশী অনেক দেশও এতে যোগ দিয়েছে।

 

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, বেজিংয়ের সাথে সম্পৃক্ততা সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ‘কিছুটা লভ্যাংশ’ দিয়েছে,  ‘অবকাঠামোগত শর্তে, বিভিন্ন সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে যেগুলো আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করে।’ কিন্তু ‘আমরা কোন ধরনের ঋণের ঝুঁকিতে (ডেবট্ ট্র‍্যাপ) নেই। আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত।… আমরা ঠিকমতোই জানি, আমরা কি করছি।’

 

চীন দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের বিআরআই প্রকল্পে পাকিস্তান মূল ভূমিকা পালন করছে। চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) মেগা প্রজেক্টে চীন প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *