অভিযোগে জানা গেছে, ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা.মো.মহী উদ্দিন হাসপাতালের বাবুর্চি (কুক) ওই নারীসহ তার ভাগনিকে হাসপাতালের তার (টিএইচও) কোয়ার্টারে যেতে বলেন। পরে ওই নারী বাবুর্চি তার ভাগনি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোয়াটারে যান। এ সময় তাদের দুই জনকেই কুপ্রস্তাব দেন সে। পরে তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী বাবুর্চিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন টিএইচও ডা. মহী উদ্দিন। কিন্তু পরবর্তীতে শ্লীলতাহানি করতে না পেরে মারধর করেন তাকে।
পরে ওই নারী বাবুর্চি চিৎকার করেন এবং টিএইচওর রুমে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এর আগে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দুই দফায় দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে তার ভাগনিকে হাসপাতালের পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগপত্র দেয় সে। পরে তাকেও চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেনেএ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ওই নারী বাবুর্চি বলেন, হাসপাতালের টিএইচও আমাকে ও আমার ভাগনিকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া ভাগনিকে হাসপাতালে পরিছন্নতাকর্মীর চাকরির জন্য দুই দফায় দেড় লাখ টাকা নেন ডা. মহী উদ্দিন। পরে ভাগনিকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ঠিকই পরে দেখি সেই নিয়োগপত্র ভুয়া। অন্যজনদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে ঘটনার বিচার চেয়ে গত ৮ আগস্ট জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহী উদ্দিন বলেন, কে বা কার প্ররোচণায় করেছে এটা জানি না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার নামে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, যেহেতু ঘটনাটি স্পর্শকাতর। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহবুদ্দিন খান বলেন, ভূঞাপুর হাসপাতালের বাবুর্চির (কুক) লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।