দুদিন ধরে ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনায় সাকিব আল হাসান। বিসিবি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরের দিন তিন সংস্করণেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখার ঘোষণা দেয়।
এ নিয়ে কাল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখান, ‘সাকিব অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার কাছে সব সময় আমরা সেরাটা চাই। সেজন্যই চুক্তিতে তিন সংস্করণেই রাখা হয়েছে তাকে।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকও অভিন্ন সুরে বললেন, ‘সাকিব সেই মাপের খেলোয়াড়, যে নিজে কোনো সংস্করণ থেকে সরে না গেলে তাকে সরানো কঠিন।’
কিন্তু বাস্তবতা হলো, নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর মাত্র তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এ সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে সব মিলিয়ে নয়টি টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে সাকিবের সরে যাওয়াটাকে প্রধান নির্বাচক যদিও মনে করেন দলের জন্য বিপর্যয়, রাজ্জাক বলেন, ‘সাকিব নিজে না চাইলে তাকে বাদ দেওয়া কঠিন।’ প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘পরিকল্পনা সাজিয়ে যে কোনো সিরিজের দল দেওয়া হয়। তার (সাকিব) না যাওয়াটা বিপর্যয়। না গেলে তো আর জোর করে খেলানো যাবে না। যারা আছে তাদের সেরাটা দিতে হবে।’ বৃহস্পতিবার ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে সাকিবও তিন ফরম্যাটেই আছেন। মিনহাজুল বলেন, ‘৩০ এপ্রিলের পর সাকিব খেলতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এক বছরে সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করছি।
তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’
রাজ্জাক বলেন, ‘সাকিব এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। তাকে নিয়ে হুট করে কোনো কথা বলা ঠিক হবে না।’ উলটো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন কী করতেন? সাকিবকে বাদ দিতেন, না রাখতেন?’ হাবিবুল বাশার দলের সঙ্গে কাল দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়াল দেওয়ার আগে বলেন, ‘সাকিবকে অবশ্যই মিস করব। সাকিব থাকলে দলের ভারসাম্য অনেক ভালো হয়। লম্বা সময় ধরে সে আমাদের অন্যতম সেরা পারফরমার। তবে এখন আমি এ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের যে দলটা আছে সেটা নিয়েই ভাবছি। আমাদের বিশ্বাস, এই দলটা নিয়েই আমরা ভালো পারফর্ম করব।’