রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয় এরদোগান পুতিনকে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনে দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য।
দুই নেতার মধ্যে হওয়া আলোচনায় পুতিন কি বলেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।
শনিবার এ ব্যাপারে মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন গণমাধ্যম হুরিয়েতকে একটি সাক্ষাতকারে জানান, এরদোগান পুতিনকে বলেছেন আগে তাদের দাবি মানতে হবে। এরপর তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভাববেন।
ইব্রাহিম কালিন আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে পুতিনকে অনুরোধ করেছেন এরদোগান। এ প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও পুতিন বলেছেন আগে রাশিয়ার দাবি মানতে হবে।
পুতিন কি কি শর্ত দিয়েছেন সে ব্যাপারেও জানিয়েছে ইব্রাহিম কালিন।
তিনি জানান রাশিয়ার প্রথম শর্ত ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ হতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা বাদ দিতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত অস্ত্রবিহীন থাকতে হবে এবং সামরিক দিয়ে অস্ট্রিয়ার মতো হতে হবে। তৃতীয় শর্ত হলো নাৎসি চিন্তা-ভাবনা বাদ দিতে হবে। চতুর্থ শর্ত হলো ইউক্রেনে রুশ ভাষার ব্যবহার বাড়াতে যে বাধা সমূহ আছে সেগুলো সরিয়ে দিতে হবে।
ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, পুতিন আরও দুটি শর্তে কথা বলেছেন। কিন্তু এ দুটি শর্ত ইউক্রেন ও বিশ্বের কোনো দেশ মানতে পারবে না।
এ দুটির মধ্যে একটি শর্ত হলো ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হলো লুহানেস্ক ও দোনেস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে হবে।