রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় অচেনা ব্যক্তি আমির হামজার নাম আসা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ‘যারা সমস্ত সত্যকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিভ্রান্ত করেছে, তারা দায় এড়াতে পারবে না। মিটিং করব, ওয়েট অ্যান্ড সি।’
বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে আমির হামজা প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে কোনো শক্তির চেয়ে কলমের শক্তি অনেক বেশি। আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করতে পারি, করেছি। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।’
গত বছরও একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন ভুল কেন বারবার হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে কমিটির ফোরামে আলোচনা হবে। সেখানে কারা এই কাজ করেছে, আলোচনা হবে। একটা ভুল বারবার হোক এটা কি কেউ চায়? এখানে দায়িত্ব পালনে ত্রুটি ছিল, না হলে আমাদের ভুল হলো কেন!’
গত ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। সেখানে সাহিত্যে যে দুইজনকে এবার মনোনীত করা হয়েছে- তাদের মধ্যে একজন হলেন আমির হামজা। অচেনা এই ব্যক্তিকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। তুমুল বিতর্ক শুরু হয় সর্বত্র। এরপরই এ ব্যক্তির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে আসে। তিনি ১৯৭৮ সালে একজন কৃষক ও এক শিশুকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ সাধারণ ক্ষমা পান তিনি।
এমন সমালোচনা আর বিতর্কের মুখে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে গত ১৮ মার্চ নয়জন ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য।
এর আগে ২০২০ সালেও সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সেটি বাতিল করেছিল সরকার।ওই বছর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এসএম রইজ উদ্দিন আহম্মদকে এই পুরস্কারে মনোনীত করা হয়েছিল।