হিজড়াদের দৌরাত্ম্য চরমে, জিম্মি করে চাঁদা আদায়

হিজড়া-আতঙ্ক ফেনীর দাগনভূঞার সর্বত্র। দলে দলে হিজড়াদের টাকা তোলা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। স্থানীয়রা বলছেন, আগে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গকে দান-খয়রাত যাই দিত তা নিয়েই খুশি থাকত। কিন্তু সম্প্রতি তাদের আচরণ বেপরোয়া হয়ে গেছে।

রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস, যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা। তাদের সঙ্গে তর্ক করলে হেনস্তা তো করছেই উপরন্তু অশোভনীয় আচরণ করছেন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে লোকজনকে। তাদের কবল থেকে রেহাই পাওয়া বা মানসম্মান বাঁচানো বড়ই দুরূহ হয়ে পড়েছে।

হিজড়ারা গ্রামের মানুষের বিয়ে-জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিথিদের সামনেই তাদের জিম্মি করে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। ১০-১৫ হাজার টাকা না দিলে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ ও তাদের কিছুই করতে পারবে না— এমন হুমকি দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে।

একাধিক ব্যবসায়ী বলছেন, হিজড়াদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে কোনো লোকের ওপর তারা হামলে পড়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

একটি এজেন্ট ব্যাংকিং দাগনভূঞা উপজেলার মোল্লাঘাটা আউটলেট শাখার সিসি টিভির ফুটেজ দেখা যায়, হিজড়াদের একটি দল অফিসে ব্যাংক কাস্টমারের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছে ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছে। অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুরের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তাদের দাবি অনুযায়ী, ২-৩ হাজার টাকা দিতে হবে। তাদের এ টাকা না দিলে অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় সংঘবদ্ধ হিজড়ারা। এ নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অফিস স্টাফরা।

প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট জসিম উদ্দিন (ফরায়েজী) বলেন, ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করি। তার পর থেকে করোনায় দেশ স্থবির হয়ে পড়ে। তখন থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে। তার মধ্যে হিজড়াদের প্রতি মাসে চাঁদার টাকা দিতে দিতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম বলেন, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে, এমন কোনো সংবাদ যদি যদি পাই তা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *