রীতিমতো দুঃস্বপ্ন দিয়ে সূচনা হয়েছে ঢাকা টেস্ট। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়াল মুমিনুলদের।
মাঠে বল গড়াতেই আউট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
লংকান পেসার কাসুন রাজিথার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ব্যাট প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়েছেন জয়। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
পরের ওভারেই বিদায় নেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল। আসিথা ফার্নান্ডোর ওভারের চতুর্থ বলটি লেগ সাইডে খেলতে গেলে উল্টো দিকে বল উঠে যায়, জয়াবিক্রমের দুর্দান্ত ক্যাচ হন। তিনিও ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই।
প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত দলের হাল ধরবেন কি উল্টো সাজঘরে ফিরে দলকে আরও ডোবালেন অধিনায়ক মুমিনুল।
ব্যর্থতার বলয় এই ইনিংসের ছিঁড়তে পারলেন না মুমিনুল হক। আসিথা ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার তিনি।
অফ স্টাম্পে পিচ করে অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বলটি অনায়াসেই ছেড়ে দিতে পারতেন মুমিনুল। বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলবেন কী ছাড়বেন ভেবে শেষ মুহূর্তে ব্যাট পেতে দিলেন। ততক্ষণে দেরি হয়ে গেল বেশ। বল তার ব্যাটের কানায় আলতো ছুঁয়ে আশ্রয় নিল কিপারের গ্লাভসে।
৯ রানে আউট হলেন মুমিনুল। এই নিয়ে টানা ৬ ইনিংসে তিনি বিদায় নিলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। সবশেষ ১৪ ইনিংসের ১১টিতেই তিনি স্পর্শ করতে পারলেন না ১০।
এবার ফের রাজিথার আঘাত। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলেন শান্ত। তাকে বোল্ড করে দিলেন এ পেসার।
রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ক্রিজের বেশ দূর থেকে বল করেন রাজিথা। বল একটু ভেতরে ঢোকা বলে সামনে অনেক পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক রয়ে যায় অনেক। সেখান দিয়েই বল ভেতরে ঢুকে আঘাত করে স্টাম্পে। কয়েকবার ডিগবাজি খেয়ে স্টাম্প চলে যায় কিপারের কাছে।
১৭ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেন শান্ত।
রাজিথার পরের বলেই আউট সাকিব। তিনিও রানের খাতা খুলতেই পারেননি। রাজিথার ৩য় শিকার তিনি।
অর্থাৎ ৭ ওভারে ২৪ রানেই দলের অর্ধেক ব্যাটার নেই বাংলাদেশের!