নিখোঁজের ৫ মাস পর কেরানীগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা শাখা। ১৫ ফুট বালুর নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানাধীন বিসিক কুটির শিল্প নগরী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা নয়নের স্বীকারোক্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। অনুপ বাউলের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পাইনা গ্রামে। পুরান ঢাকার তাতীবাজারে অনুপ বাউলের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানসহ বেড়াতে যান অনুপ বাউল। পরদিন ব্যবসায়িক পার্টনার নয়নের কাছে পাওনা ২ লাখ টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন অনুপ বাউল। এ ঘটনায় তার ভাই বিপ্লব বাউল কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) খোরশেদ আলম বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলাটি পিবিআইতে আসার পর আমরা সাসপেক্ট (সন্দেহজনক) হিসেবে অনুপ বাউলের ব্যবসায়িক পার্টনার নয়নকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডে নয়ন ছাড়াও কয়েকজন জড়িত। নয়নের বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া জৈনপুর এলাকায়।
এসপি বলেন, ঘটনার দিন অনুপ বাউল পাওনা টাকা নিতে জৈনপুর আসলে নয়নসহ কয়েকজন মিলে অনুপ বাউলকে হত্যা করেন। এরপর গুম করতে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সিরাজদিখানের কুটির শিল্প নগরীতে। সেখানে আসামি রিপনের সহযোগিতায় ভ্যাকু দিয়ে বালুর ১৫ ফুট গভীরে লাশ পুতে রাখেন তারা।