বান্দার ঈমান ও আনুগত্যে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহর সন্তুষ্ট হওয়ার বিষয়টি বিবৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।
এটাই মহাসাফল্য। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০০)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের ওপর সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার কাছে বাইয়াত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন। ’ (সুরা : ফাতহ, আয়াত : ১৮)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও সাফল্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং তাই মহাসাফল্য। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করতেন। তিনি দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার খুশির জন্য আপনার অখুশি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি, আপনার ক্ষমা ও অনুকম্পার জন্য আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং আপনার সত্তা থেকে আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করি। আপনার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারি না, আপনি তেমনি যেমন আপনি নিজের প্রশংসা করেছেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৬)
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি পরস্পর বিপরীত নয়। কেননা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তোষ তাঁর প্রজ্ঞা ও ইনসাফের অধীন। তাই তাতে কখনো ভারসাম্যহীনতা ও বৈপরীত্ব তৈরি হয় না, যেমন সৃষ্টির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আল্লাহর প্রতিটি গুণই সার্বিক বিবেচনায় পরিপূর্ণ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত।
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া