ডিবিআইডি ছাড়া ডিজিটাল কমার্স ব্যবসা করা যাবে না

এতে বলা হয়েছে, ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে এটি জারি করা হয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮-এর অধীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এ নিবন্ধন করা যাবে। আর ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া—যেখানেই ব্যবসা পরিচালনা করা হোক না কেন, সেখানেই বাধ্যতামূলকভাবে এই ডিবিআইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

বলা হয়েছে, যারা ইতিমধ্যে এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, তাদের আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই ডিবিআইডির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনকৃত নামে যদি আগে কোনো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত থাকে অথবা মূল মালিক অভিযোগ করে থাকে, তাহলে স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলে তার পরবর্তী সময়ের আবেদন বাতিল করা হবে।

আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান এসএমই ফাউন্ডেশন, ই–ক্যাব বা অন্য কোনো ডিজিটাল কমার্স সংগঠনের অনুমোদিত যেকোনো ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হলে ডিবিআইডি পাবে।

এই নির্দেশিকা শুধু ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং এ নির্দেশিকা সারা দেশে প্রয়োগ করা হবে। এ নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রকারভিত্তিক ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হবে। ডিবিআইডি নম্বর পাওয়ার আগে আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের জাতীয় পরিচয়পত্র, পরিচালকদের জাতীয় পরিচয়পত্র, বাড়ির মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর, ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, আয়কর নিবন্ধন নম্বর ও অফিস যদি ভাড়ায় থাকে সে ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *