আল্লাহর আত্মমর্যাদাবোধ সবচেয়ে প্রবল

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে উম্মতে মুহাম্মদি! আল্লাহর শপথ, আল্লাহর চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাশীল কেউ নেই [সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৪৪]

আল্লাহ প্রবল আত্মমর্যাদার অধিকারী। আত্মমর্যাদায় তাঁর কোনো সমকক্ষ নেই। আল্লাহর মর্যাদার সঙ্গে মানুষ বা অন্য কোনো সৃষ্টির আত্মমর্যাদার কোনো মিল নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা কি সাআদের আত্মমর্যাদাবোধ থেকে বিস্মিত হচ্ছ? আমি তার চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী।

আল্লাহ আমার চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৮৪৬)

 

অন্য হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলার আত্মমর্যাদাবোধ আছে এবং আল্লাহর আত্মমর্যাদাবোধ এই যে, যেন কোনো মুমিন বান্দা হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে না পড়ে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২২৩)

আল্লাহর আত্মসম্মানের দাবি হলো বান্দা তাঁর অবাধ্য হবে না, তারা কোনো পাপ কাজ ও অশ্লীলতায় লিপ্ত হবে না এবং তাঁর আনুগত্য, ইবাদত ও গুণকীর্তনে আত্মমগ্ন থাকবে। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে উম্মতে মুহাম্মদি! আল্লাহর শপথ, আল্লাহর চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাশীল কেউ নেই। ফলে কোনো পুরুষ বা নারী ব্যভিচার করলে তিনি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৪৪)

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘আত্মমর্যাদাবোধ ক্রোধ ও অপছন্দের জন্ম দিতে পারে। হাদিসে এসেছে, আল্লাহর চেয়ে কেউ বেশি আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী নেই। আত্মমর্যাদা থেকেই তিনি অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করেছেন। কোনো সুস্থ বিবেকের অধিকারী ব্যক্তি অশ্লীলতা পছন্দ করে না। কিন্তু বিকৃত রুচির মানুষের কাছে আত্মমর্যাদাবোধ মনের আবর্জনা মাত্র এবং তারা মনে করে, এর থেকে লজ্জা, আনন্দ, ক্রোধ, ক্ষোভ, রাগ ও অপছন্দ সৃষ্টি হয়। প্রকৃত সত্য হলো, এসব গুণ শরিয়ত ও যুক্তি, প্রচলন ও প্রকৃতির বিচারে প্রশংসনীয় এবং তার বিপরীত অবস্থাগুলো নিন্দনীয়। নিশ্চয়ই যার আত্মমর্যাদাবোধ নেই তার কাছে অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া এবং তা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ’ (আস-সাওয়ায়িকুল মুরসালাহ : ৪/১৪৯৭)

আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *