রক্ত জমাট বাঁধা, সাধারণত ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডিভিটি) নামে পরিচিত, একটি গুরুতর অবস্থা যা জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা আছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে এর চিকিৎসা করা সহজতর হয়। এর ওষুধও পাওয়া যায়।
চারটি লক্ষণ রয়েছে, যার দিকে আপনার খেয়াল রাখা উচিত, বিশেষত পায়ে। অন্যান্য উপসর্গগুলো সতর্ক করে দিতে পারে যে, আপনার রক্ত জমাট বাঁধা শুরু হয়েছে। এর জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
স্কটল্যান্ডের এনএইচএস ইনফর্ম অনুসারে লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে―
১. আপনার একটি পায়ে ব্যথা, ফোলা ভাব এবং ভারী ভারী মনে হওয়া।
২. জমাট বাঁধা জায়গায় উষ্ণতা অনুভব করা।
৩. বিশেষ করে হাঁটুর নিচে আপনার পায়ের পেছনের ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া।
আরো লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে শ্বাসকষ্ট, যা পালমোনারি এমবোলিজম, যা রক্ত জমাট বাঁধা সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা, যা রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়।
নিচের রক্ত জমাট বাঁধার কিছু প্রধান লক্ষণ দেওয়া হলো, যা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ব্যাথা
রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে থ্রবিং বা ক্র্যাম্পিং ব্যথা। পায়ে ক্রামাগত ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া। আক্রান্ত স্থান যেখানে রক্ত জমাট বেঁধেছে সেখানে স্পর্শেও উষ্ণ অনুভূত হতে পারে।
ফুলে যাওয়া
জমাট রক্ত, রক্ত প্রবাহকে কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়। ফলে পা ফুলে যায়। সাধারণত এটি পায়ের শিরায় ঘটে। এটি পেলভিস বা পেটেও ঘটতে পারে, যা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো জটিলতার কারণ হতে পারে।
ত্বকের রং পরিবর্তন
একজন ব্যক্তির পায়ের আক্রান্ত স্থান লাল বা নীল বর্ণ ধারণ করা শুরু করতে পারে। এমন কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ত্বক বিবর্ণ বা সাদা বর্ণও ধারণ করে। যা সতর্ক করে দেয় যে সেখানে কিছু একটা ঘটে চলেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রক্ত জমাট বেঁধে ‘ত্বকের রঙের পরিবর্তন যেমন ফ্যাকাশে, লাল বা নীল বা বেগুনি হয়ে যাওয়া’ ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের বা রক্ত জমাট বাঁধার ইঙ্গিত হতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া