তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ১০৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সময় যত গড়াচ্ছে, ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া তুরস্কের বেশ কয়েকটি শহরের মতো একটি আদানা। সেখানে ধসে যাওয়া ভবনগুলোকে সরানো হচ্ছে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার হলেই আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে ওই শহর।
ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া তুরস্কের শহরটিতে আন্তর্জাতিক উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সোমবারের ওই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল ধসিয়ে দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, অগণিত মানুষ পরিণত হয়েছে উদ্বাস্তুতে।
ওই ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর কাছাকাছি মাত্রার শক্তিশালী আরেকটি কম্পনও দেশদুটিকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বৈরী আবহাওয়া, সম্পদ ও ভারী যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো ও সেখানে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
দীর্ঘদিনের যুদ্ধে ইতোমধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া তুরস্ক সীমান্ত লাগোয়া সিরিয়ার কিছু শহরে ভূমিকম্পের আঘাত অত্যন্ত তীব্র হয়েছে। এসব সীমান্ত এলাকায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক বেশি।
সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ জ্বালিয়ে ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আন্তর্জাতিক সহায়তা মাত্র পৌঁছাতে শুরু করেছে।