কথিত প্রযোজক রহমতুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক শাকিব খান বলেছেন, গোটা চলচ্চিত্র অঙ্গনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। আর তাকে ইন্ধন জুগিয়েছে একটি কুচক্রী মহল।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হঠাৎই মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শাকিব খান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তিনি ছিলেন সেখানে। ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
শাকিবের দাবি, রহমতুল্লাহ নামে দেশে কোনো প্রযোজক নেই। তিনি মূলত একজন প্রতারক। টাকার জন্য তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মাহির পর এবার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শাকিবের
শাকিব খান বলেন, ‘এই রহমতুল্লাহর মতো একজন ভুয়া প্রযোজক নামধারী বাটপার এফডিসির ভেতরে গিয়ে ৩-৪টা সমিতির কাছে বিচার চেয়েছে। সে মিডিয়ার কাছে একটি কথাই বলেছে, আমাকে টাকা দিয়ে দেক আমি চলে যাব।’
তিনি জানান, একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনেই রহমতুল্লাহ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
ঢাকাই সিনেমার এ নায়ক বলেন, ‘একটা মহল আমার পেছনে লেগেছিল। তারা অনেক কিছু সাজাতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। তারা ভেবেছিল শাকিব পর্ব এখানে শেষ করতে কিন্তু সেটা হয়নি। সেই সময়ের সুযোগ নিয়ে এই প্রতারককে খুঁজে আবারও নাটক সাজিয়েছে।’
রাজধানীর গুলশান থানায় ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে মামলা করতে গেলে থানা মামলা আমলে না নিয়ে শাকিবকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। শাকিব খান জানান, রাতে পুলিশ সহযোগিতা করলে রহমতুল্লাহ দেশ ছেড়ে পালাতে পারতেন না।
শাকিব আরও বলেন, ‘একটা সাধারণ মামলা নিতে কেন এত গড়িমসি করবে এবং আপনারা বলেন যে আমি মামলাটা নিলাম না। তারা এই প্রতারককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে কি না, এটা আমার সন্দেহ হচ্ছে এখন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার ডিবি খুব দ্রুততার সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি করে আমরা আগে এটা দেখেছি। এ জন্য আমি ডিবির প্রধান হারুন ভাইয়ের কাছে ফোন দিই, এসে দেখা করি। তিনি আমার সঙ্গে সময় নিয়ে কথা বলেন। আমার সব কথা শোনেন, আমার সব নথি তিনি দেখেন। সব বিষয় তিনি খতিয়ে দেখেছেন।’
শাকিব খানের লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করবে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘শাকিব আমাদের কাছে দ্রুত এসেছে এ জন্য যে, সে একজন ভুয়া প্রযোজক, তার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট আছে, তাই সে পালিয়ে যেতে পারে। সে কারণে শাকিব দ্রুত আমাদের কাছে এসেছে যেন সে পালিয়ে যেতে না পারে। তখন আমরা বলেছি এটা আমরা এখনি তদন্ত করে দেখব।’
ঢাকাই সিনেমার এই নায়কের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই তার পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।