২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম দিককার এই সুপারস্টারের অর্ধশতকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সেটিই ছিল প্রথম জয়। তার এই অর্ধশতক বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম তো বটেই, ছিল টি-টোয়েন্টির তৎকালীন বিশ্বরেকর্ডও। এক সপ্তাহ পর অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চেই বিশ্বরেকর্ডটা হাতছাড়া হয়। তবে দীর্ঘ ১৬ বছর টিকে ছিল দেশের পক্ষে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি।
বুধবার (২৯ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ১২৫ রান করতে পারে আয়ারল্যান্ড। এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে মাত্র ৪১ বলে ৮৩ রান করেন লিটন দাস। ইনিংসটি খেলার পথে ১৮ বলে অর্ধশতক হাঁকান তিনি। তাতে ভেঙে যায় ১৬ বছর আগে গড়া মোহাম্মদ আশরাফুলের বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি।
লিটনের কাছে রেকর্ড হারানোয় আক্ষেপ নেই আশরাফুলের। বরং তার চাওয়া–ওয়ানডে ও টেস্টের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড দুটিও লিটনের দখলে যাক।
আশরাফুল বলেন, ‘রেকর্ড তো হয়ই ভাঙার জন্য। প্রায় ১৬ বছর এই রেকর্ড ছিল। এখনও টেস্ট ও ওয়ানডেতে দুটি রেকর্ড আছে। আশা করি এই দুটোও লিটনই ভাঙবে। যেভাবে সে খেলছে, সব ফরম্যাটে সব রেকর্ড তারই হবে। রেকর্ড থাকলে অবশ্যই ভালো লাগে। নিজের নাম সবার ওপরে দেখতে ভালোই লাগে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। এটা তখন বিশ্বরেকর্ড ছিল। তার সাত দিন পর যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেন। ভালো লাগছে।’
লিটনের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ আশরাফুল তাকে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটার হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘লিটন যখন ভালো খেলে, ওর ব্যাটিং দেখতে মজা লাগে। ক্লাস প্লেয়ার, ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটার। আশা করব ধারাবাহিকতা থাকবে। লিটনের ইনিংস নিয়ে তো বোলার কিছু নেই। ২-৩ বছর ধরে অসাধারণ খেলছে। সব ফরম্যাটে ভালো করছে, বিশেষ করে টেস্টে যেভাবে পঞ্চাশেরও বেশি গড় নিয়ে খেলছে। এখন বাকি দুই ফরম্যাটে হাই স্ট্রাইক রেটে খেলছে। যেটা আমরা দেখতে চাই।’