কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) এর অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নোয়াখালী জেলা বাপেক্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী আনোয়ার ইকবালের পরিচালনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ও সেনবান উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যগণ ও ভূমির মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাপেক্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী আনোয়ার ইকবাল বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাপেক্স নিন্মেক্ত ২টি কূপ অনুসন্ধান কূপ খননের পরিকল্পনা করেছে— একটি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে। অন্যটি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে সুন্দলপুর দক্ষিণ—১ অনুসন্ধান কূপ। অনুসন্ধান কূপের মাধ্যমে উক্ত এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হয়। আর উন্নয়ন কাম মূল্যায়ন কূপের মাধ্যমে নির্বাচিত স্থানের মধ্যে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ আছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয়।
পরিবেশগত পরামর্শ প্রতিষ্ঠান (ওওঋঈ) কর্মকর্তা ইমন কুমার বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ অনুসরণ করা হয়েছে এবং প্রকল্পের কারণে কোনও উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব পাওয়া যায়নি। সাধারণ স্বল্পমেয়াদী নির্মাণ প্রভাব ব্যতীত উল্লেখযোগ্য কোন নেতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব পড়বে না।
৯নং নবীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের জাতীয় সম্পদ আমাদের এখান থেকে গ্যাস ঘন থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে পারলে আমাদের দেশের অনেক উন্নয়ন হবে তাছাড়া আমাদের এই এলাকারও অনেক উন্নয়ন হবে এই ব্যাপারে বাপেক্স কে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতা করব। এ সময় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ভূমি মালিরা আপত্তি জানিয়ে প্রকল্পের নাম সুন্দলপুর না দিয়ে রামপুর গ্যাসক্ষেত্র নবীপুর গ্যাসক্ষেত্র নাম দেওয়ার প্রস্তাবনা করেন।