নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনা সর্ম্পকে নানা তথ্য ও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেছেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে র্যাব -১১ এর কিছু সদস্য। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭ জনকে অপহরণের পর ৩০ এপ্রিল লাশ উদ্ধারের পরপরই নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছিলেন গণমাধ্যমের কাছে।
এর ৪ দিন পর আবারো একই অভিযোগ করলেন তিনি। রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবে নিহতের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে এ হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে র্যাব-১১ এর সদস্যরা। অপহরণের সময় প্রতক্ষ্যদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এসময় কয়েকজন বালুশ্রমিক র্যাব-১১ এর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে নজরুলের শ্বশুর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ কোর্টের একটু আগে ওই জায়গায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে দেখি কয়েকজন শ্রমিক বালু টানতেছে। তাদেরকে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা কাউকে দেখেছেন কিনা যে কাউকে গাড়ি করে ওঠাইয়া নিছে? তারা বলল যে দুটি গাড়ি সারাদিনই এখানে ছিলো এবং গাড়িগুলোতে র্যাব-১১ এর স্টিকার লাগানো ছিলো।’
সোমবার এ অভিযোগ গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হওয়ার পর দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উইং কমান্ডার এটিএম হাবিবুর রহমান জানান, রোববার আমরা জেনেছি র্যাবের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালককে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে।
ঘটনার পরপরই অবশ্য নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব ১১ এর সিও সহ ২ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। সময় টিভি