টাকা দিয়ে কি সুখ কেনা যায়? টাকা আবিষ্কারের পর থেকেই এ প্রশ্নটি মানুষের মনে ঘুর-পাক খাচ্ছে। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার ভিত্তিতে এ ধরনের কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছেন বিজনেস ইনসাইডার।
আপনি কীভাবে সুখী হতে পারেন:
আমাদের সুখের মাত্রা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এতে নিরপেক্ষ সময় ও অর্থের ভূমিকা থাকেই। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি বেশি অর্থ খরচ করে কর্মক্ষেত্রের কাছাকাছি থাকেন তাহলে তা আপনার সুখের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়া দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মানুষের ভালো থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কোথাও খেতে যাওয়া, বন্ধুকে কফি খাওয়ার নিমন্ত্রণ কিংবা একটু খেলাধুলার ব্যবস্থা করলে আপনি সুখী হতে পারেন।
অবসরপ্রাপ্তরা কীভাবে সুখী হবেন:
এক গবেষণায় দেখা গেছে, অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা সুখী, তাদের কোনো বাড়ির কিস্তি পরিশোধের মতো ঝামেলা নেই। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অসময়ের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখলে জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যায়। এতে ভালো থাকার সার্বিক সম্ভাবনা বাড়ে। অধিকাংশ মানুষ জানান, অবসরের জন্য সঞ্চয় করে রাখলে তাদের মাঝে কোনোকিছু অর্জনের মনোভাব আসে এবং নিজের সম্পর্কে গর্ববোধ বাড়ে। অন্যদিকে যারা অবসরের পরে অস্থায়ী বাড়িতে থাকেন, তাদের সুখের মাত্রা কম হয়।
মধ্যবিত্তের সুখের চাবিকাঠি:
সুখ বলতে কী বোঝায়? এ প্রশ্নের উত্তরে সাম্প্রতিক গবেষণাতে দুই ধরনের উত্তর পাওয়া গেছে। এক ধরনের সুখের নাম ‘আবেগ গত ভালো থাকা। মানুষ কত বার হাসে, চাপের মধ্যে থাকে, রেগে যায়, আনন্দিত হয়। দৈনন্দিন এসব বিষয়ের ভিত্তিতে মানুষের জীবন আনন্দময় হয়। এসবের ওপর ভিত্তি করে জানা যায়, নির্দিষ্ট একটি মাত্রার পর টাকা কোনো মানুষকে সুখী করতে ভূমিকা রাখতে পারে না।
উচ্চমাত্রার সুখ:
দ্বিতীয় একধরনের সুখী মানুষ পাওয়া যায় যাদের সুখকে ‘জীবন মূল্যায়ন’ হিসেবে অভিহীত করা হয়। এ ধরনের সুখীরা তাদের জীবন দীর্ঘদিনের সাফল্যের ভিত্তিতে বিবেচনা করেন। তারা তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন যে তারা সুখী। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবন মূল্যায়ন মাত্রায় উচ্চ সুখী হয় তারা, যাদের উচ্চশিক্ষা ও উচ্চ আয় রয়েছে। তবে গবেষকরা ঠিক কত উপার্জন করলে সুখী হওয়া যায় কিংবা জীবনে সুখ আসবে, এমন কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাননি।