ডেস্ক রিপোর্ট : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জামায়াতের ডাকা হরতাল কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চলছে। হরতালের মধ্যে নগরীতে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে প্রচুর পরিমাণে গণপরিবহন রাস্তায় বের হয়েছে। রিক্সা এবং অটোরিক্সা চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক দেখা গেছে।
হরতালের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। চলমান এইচএসসি পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত আছে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর থেকে নগরীতে জামায়াত-শিবিরের কোন পিকেটিং কিংবা মিছিল-সমাবেশ চোখে পড়েনি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় নগরীর অর্ধশতাধিক পয়েন্টে দু’হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন আছে। নগরীর মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চলছে।
পঃমথযধৎঃধষথঢ়রী
এদিকে নাশকতা মোকাবেলায় নগরীতে টহল দিচ্ছে র্যাব। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)ও।
জেলার মধ্যে জামায়াত অধ্যুষিত সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালীতে অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কম বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম এমরান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে হরতালের কোন প্রভাব নেই। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা কোথাও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেননি।
বুধবার সকালে নগরীর নিউমার্কেট, কাজির দেউড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণে রিক্সা, অটোরিক্সা, টেম্পু, মিনিবাস চলাচল করছে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে পণ্যবোঝাই পরিবহন চলাচল কম দেখা গেছে।
পঃমথযধৎঃধষঢ়রীথ২
হরতালের মধ্যেও নগরীতে অধিকাংশ কল-কারখানা, পোশাক-কারখানা খোলা আছে। সরকারী-বেসরকারী অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াত কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নগর শাখার আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলামসহ ২১ জনকে আটকের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়। বাংলানিউজ