বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সিআরপিসি অনুযায়ী এই তিন কর্মকর্তাকে এখন থেকে গ্রেফতারে আর কোনো বাধা নেই। এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে গ্রেফতার করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এই চিঠিটি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে। এরপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছে।
এসব র্যাব কর্মকর্তা হলেন, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা সেনা কর্মকর্তা র্যাব-১১ এর সাবেক সিও তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা।
তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও গডফাদার নূর হোসেন ওরফে হোসেন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে আরেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণ করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
এরপর গত ১১ মে হাইকোর্ট তাদেরকে আইনের যেকোনো ধারায় গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে কাউন্সিলর নজরুলকে বহনকারী প্রাইভেটকারটিকে সামনে এবং পেছন থেকে দুটি মাইক্রোবাস ঘিরে ধরে।
পরে নজরুলসহ তার প্রাইভেটকারের চালক জাহাঙ্গীর, বন্ধু তাজুল, স্বপন ও লিটনকে অস্ত্রের মুখে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। এছাড়াও অপহরণ করা হয় প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিমকে।
অপহরণের চার দিন পর ৩০ এপ্রিল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকারসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন ১ মে নজরুলের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরের লাশও উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা থেকেই।শী নি