এম.এ.হাসান,পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি, আজকের সময় :
পরশুরাম হাসপাতালে ২১ ডাক্তারের মধ্যে আছেন ৬ জন। এর আওতায় আরো ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২ বছর যাবত একটিতেও ডাক্তার নেই। ফলে ৬ ডাক্তার প্রায় সোয়া লাখ পরশুরাম উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
পরশুরাম হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পরশুরাম হাসপাতালে ১৫ ডাক্তারের শূণ্য পদগুলো হলো জুনিয়ার কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (অর্থো পেডিক্স), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (ইএনটি), জুনিয়ার কনসালটেন্ট (কার্ডিওঃ),আবাসিক মেডিকেল অফিসার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ইওসি), ডেন্টাল সার্জন, আইএমও, ইএমও, এনেস্থেসিস্ট, এমও (এএমসি), ও মেডিকেল অফিসারের ০৩টি পদ।
সুবার বাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উত্তর গুথুমাস্থ নোয়াবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে এমবিবিএস ডাক্তারের পদ থাকলেও গত দুই বছর যাবত পদ দুটি শূন্য। চিথলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বকসমাহমুদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহকারী সার্জন পদে ১জন করে এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও নেই দুই বছর যাবত। পরশুরাম হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি গত মার্চ মাস থেকে অকেজো অবস্থায় রয়েছে। একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন ও মেরামতের অভাবে বন্ধ রয়েছে। ১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদ থাকলেও আছে মাত্র ১জন।
হাসপাতাল ক্যাম্পাসের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রক্ত পরীক্ষা বিভাগের মেডিকেল টেকনেশিয়ান(ল্যাব) মোঃ দোলন মিয়া দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থতা জনিত কারণে অনুপস্থিত থাকায়, ওটি এটেনডেন্টকে দিয়ে চলছে কাজ। সম্প্রতি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাবিব-উল-করিম প্রমোশন নিয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাসির উদ্দিন প্রমোশন নিয়ে খাগডাছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হলে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে।
পরশুরাম হাসপাতালের ২১ ডাক্তারের মধ্যে ৬ জন ডাক্তার থাকলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আলম ও মেডিকেল অফিসার মীর শাহাদাত হোসেন ছাড়া বাকী কেউই পরশুরামে থাকেন না। জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডাঃ গাজী গোলাম মোস্তফা ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডাঃ বেগম ছায়েরা শরীফা শিল্পী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী তারা বেলা ১১ টার দিকে প্রাইভেটকারে চড়ে করে আসেন। চলে যান ১ টার দিকে। অন্যান্য দুই ডাক্তারও একইভাবে আসা যাওয়া করেন। পদের বিপরীতে শূণ্যতা ও যারা আছেন তাদের কর্মস্থলে সার্বক্ষনিক না থাকার কারণে পরশুরামের স্বাস্থ্য সেবা চরম সংকটে। এ অবস্থায় রোগীরা ছুটছেন প্রাইভেট ডাক্তার চেম্বারের দিকে। সেখানে টাকা দিয়েও চাহিদা মাফিক সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। প্রয়োজন না হলেও চেম্বার মালিকদের মন রক্ষায় গাদা-গাদা পরীক্ষা নীরিক্ষা ধরিয়ে দিচ্ছেন ডাক্তারেরা। বিত্তবান রোগীদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ থাকলেও গরীবদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা স¦াস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল আবছার আজকের সময়’কে জানান,বিভিন্ন সমস্য সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।