দারুণ মজার একটি প্রোডাক্ট বের করতে যাচ্ছে ফেসবুক। নতুন এই অপশনটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেলিভিশন এবং আপনার আশপাশে বাজতে থাকা গান শুনে সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং কোন শিল্পীর কোন গান শুনছেন তার পোস্ট দিয়ে দেবে। ধরুন আপনার বন্ধু মাইকেল জ্যাকসনের গান শুনছেন আর ফেসবুকে বসে রয়েছেন। আপনি জেনে যাবেন বন্ধু কার কোন গানটি শুনছেন।
লক্ষ কোটি সংগীত অনুরাগীর কথা মাথায় রেখে মিউজিক স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান স্পোটিফাই, আরডিও এবং ডিজারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ফেসবুক। এই প্রতিষ্ঠানগুলো লক্ষ-কোটি গানের সম্ভার গড়ে তুলছে। সেই সম্ভার থেকেই ফেসবুক নিমিষেই বের করে ফেলবে গানের যাবতীয় তথ্য।
ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার আরিয়া সেলেকম্যান ফেসবুকের এই নতুন প্রোডাক্টের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। অডিওটি চিহ্নিত করেই তার তথ্য স্ট্যাটাসে আপডেট আকারে আসবে। সেই সঙ্গে ওই পোস্ট থেকে ওই গানের লিংকয়েও যেতে পারবেন অন্যরা।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ‘শাজাম’কে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। এটি চারপাশের গানের শব্দ শুনে সেই গানটিকে আপনার কাছে এনে দেয়। আর এখন ঘরে বসে ফেসবুক থেকেই গান পাবেন এবং স্মাইলিতে ক্লিক করেই নতুন পোস্টে চলে যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তা ছাড়া মানুষ তাদের মোবাইলে সব সময় শাজামের চেয়ে ফেসবুক খুলে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন।
ফেসবুকের নিউ ইয়র্ক অফিসে এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গান খুঁজে পেতে শাজামের চেয়ে দ্রুত কাজ করছে। মাত্র ১৫ সেকেন্ডেই গানের ইতিহাস বের করে ফেলেছে ফেসবুক। তবে অফিসের ভেতরে চুপচাপ থাকায় তা দ্রুত ধরা গেছে।
এদিকে, শাজাম সম্প্রতি অ্যাপলের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে এই গান মেলানোর ফিচার নিয়ে। এ তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ।
নতুন এই ফিচারটি খুব তাড়াতাড়ি টুইটারেও আসবে। তবে এই ফিচারটির জন্য সবচেয়ে আদর্শ মনে হয় টুইটারকে। কারণ টেলিভিশন দেখার সঙ্গে এই মাধ্যমটি খাপ খায়।
দারুণ এই অপশনটি আসছে ফেসবুকের ‘ফিলিং অ্যান্ড অ্যাকটিভিটি শেয়ারিং’ অংশের একটিমাত্র আইটেম হিসেবে। এই অংশে আরো আকর্ষণীয় বিষয় যোগ হতে থাকবে। আপনি যখন কোনো পোস্ট দেবেন তখন টেক্সট বক্স থেকে ‘স্মাইলি ফেস’ আসতে থাকবে আপনার পোস্টের ধরন বুঝে। এ ছাড়া ছোট ছোট শব্দের ভাণ্ডার বিশাল করা হবে যা দিয়ে একটি কাজের পুরোটা বোঝানো যায়। যেমন- রিডিং, ড্রিংকিং, লিসেনিং টু ইত্যাদি। ২০১৩ সাল থেকে চালু হওয়া এই অপশন থেকে পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
এখন ফেসবুকে দেখা ও শোনা বিভাগটি ব্যাপক আকার ধারণ করবে। যে অডিওটি শোনা যাবে তা কোডের মাধ্যমে নেবে ফেসবুক। তার পর সেই কোডিং মিলিয়ে নেবে স্পোটিফাই, আরডিও এবং ডিজারের একই ধরনের কোডিং থেকে। এমন ডেটাবেইজ এখনো গড়ে তোলার কাজ চলছে। কাজেই এখন ফেসবুকে গান নিয়ে মাততে অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার