কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আ.লীগ: সুরঞ্জিত

suronjit-swadeshnews24

গণভবনে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় আওয়ামী লীগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় আওয়ামী লীগ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।



আজ দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় এ মত দেন সুরঞ্জিত।



আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সভা আছে। প্রধানমন্ত্রী দলের উপদেষ্টা পরিষদ, সংসদীয় বোর্ড ও কার্যনির্বাহী সংসদকে ডেকেছেন। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।’

গণভবনে আওয়ামী লীগের ওই যৌথ সভায় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও দলীয় সাংসদেরা উপস্থিত থাকবেন।



নাম প্রকাশ না করে দলটির একজন দায়িত্বশীল নেতা আজ  বলেন, যৌথ সভায় নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের সাম্প্রতিক ঘটনা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক রহমানের অব্যাহত ‘কটূক্তি’ আলোচিত হতে পারে।



সুরঞ্জিত মনে করেন, জনগণের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারের সম্পর্ক থাকে কোনো দলের মাধ্যমে। এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করা এখন সময়ের দাবি। সরকারের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এখন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।



যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর বিচার হবে দাবি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত বলেন, ‘বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার হবেই। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার কোনো সুযোগ নেই। কোনো রকম সন্দেহ-সংশয়েরও সুযোগ নেই।’



আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিচার প্রসঙ্গে বর্তমান ও সাবেক আইনমন্ত্রীর একেক রকম ব্যাখ্যা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘আইনবিদদের একটি সমস্যা আছে। যেকোনো বিষয়ে আইনের বৈচিত্র্যময় ব্যাখ্যা আছে। তবে আইনের ওই সব ব্যাখ্যা মিডিয়াতে না এলেই ভালো হতো। এ জাতীয় বৈচিত্র্যময় ব্যাখ্যার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আদালত থেকে। তবে, এ বিচারের স্বার্থে কোনো সংশোধনী দরকার হলে আইন মন্ত্রণালয় তা করতে পারে।’



সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের আজকের যৌথ সভার কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে—জানতে চাইলে দলটির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের যেকোনো কঠিন সিদ্ধান্ত আসে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। এটা যেহেতু যৌথ সভা, তাই সেখানে দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হবে। সাংসদদের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য দলীয় সভানেত্রী নির্দেশ দেবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *