পাকিস্তানের উলেমা পরিষদ (পিইউসি) কঠোরভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, ‘সম্মান’ রক্ষায় নারী বা মেয়েদের হত্যা করা মোটেও ইসলাম সম্মত নয়।
পাকিস্তানের ডন জানায়, বৃহস্পতিবার পিইউসি’র দারুল ইফতা বিষয়টি নিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এক ফতোয়ায় এ ঘোষণা দেয়।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এক অন্তঃসত্বা নারীকে ‘সম্মান’ রক্ষার অজুহাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তান ও বিশ্বব্যাপি মারাত্মক নিন্দার ঝড় ওঠে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে পিইউসি এ ঘোষণা দিল।
ওই ঘোষণায় এ ধরনের হত্যা বৈধ বা ইসলামসম্মত নয় উল্লেখ করে বলা হয়, “এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বিশ্বে অনিষ্ট ছড়িয়ে পড়তে ভূমিকা রাখে।”
সংবাদ সম্মেলনে পিইউসি’র চেয়ারম্যান হাফিজ মোহাম্মদ তাহির আশরাফি এ বিষয়ে জারি করা ফতোয়ার একটি তালিকা উপস্থাপন করেন। এই সম্মেলনে কূটনীতিক, ধর্মতাত্ত্বিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আশরাফি বলেন, সন্দেহের কারণে অনেক সময় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এবং প্রায়ই হত্যাকারীদের অভিযোগের বিষয়ে প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ থাকেনা।
পাকিস্তানে সাধারণত অবিবাহিত মেয়ে সন্তানরাই এ ধরনের ‘সম্মান’ রক্ষার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে ঘোষিত ফতোয়ায় আশরাফি বলেন, “অবিবাহিত মেয়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলেও এবং কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দিলেও তাদের হত্যা করা যাবে না।”
সম্প্রতি পাকিস্তানের লাহোরে পরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করার কারণে প্রকাশ্য দিবালোকে আদালতের সামনে অপেক্ষমাণ এক অন্তঃসত্বা নারীকে হত্যা করে তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় নিহত নারীর স্বামীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
এ ধরনের ‘সম্মান’ রক্ষার নামে দেশটিতে প্রতি বছর শত শত নারীকে হত্যা করা হয়