বর্তমানে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা আছে। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এই সুবিধা বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্য্যন্ত করার প্রস্তাব করেছেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এই প্রস্তাব করেছেন বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
একইসঙ্গে তিনি নতুন শিল্পের উদ্যোক্তাদের কর অবকাশের বিকল্প হিসেবে ত্বরান্বিত অবচয় ভাতার বিধান পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন।
এছাড়া যারা অনগ্রসর এলাকায় শিল্প স্থাপন করবেন তাদেরকে কর রেয়াত সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের সিটির্পোরেশনগুলোর বাইরে শিল্পায়ন হলে দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এজন্য দেশের সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে সরকার কর্তৃক শিল্প হিসেবে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে কর রেয়াত ও কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করছি।”
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “অনগ্রসর এলাকায় স্থাপিত কর অবকাশযোগ্য শিল্প নয়, এমন বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত দেওয়া যেতে পারে।
২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনগ্রসর এলাকায় কেউ কর অবকাশ যোগ্য নয় এমন শিল্প স্থাপন করলে তাকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হবে।
২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনগ্রসর এলাকায় কেউ শিল্প স্থানান্তর করলে তাকেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত ২০ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হবে।
এছাড়া অনগ্রসর এলকায় কর অবকাশ প্রাপ্ত শিল্পের সুবিধা ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনগ্রসর এলাকায় কেউ কর অবকাশ যোগ্য শিল্প স্থাপন করলে সে ১০ বছরের কর সুবিধা পাবেন।