১৯৫০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল গোটা ব্রাজিলে। নিজেদের মাটি, চারদিকে এত উন্মাদনা। ‘আমরাই হব বিশ্বকাপের সেরা দল’ প্রত্যাশায় হাবুডুবু খাচ্ছিল ব্রাজিলিয়ানরা। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উদ্যাপন করতে মুখিয়ে ছিল গোটা ব্রাজিল। কিন্তু হায়, অলিখিত ফাইনালটা ব্রাজিলের জন্য হলো দুঃস্বপ্নের অন্য নাম!
সেই ম্যাচ দেখতে মারকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারি টইটুম্বর, দুই লাখ দর্শকের িচৎকারে গোটা স্টেডিয়াম প্রকম্পিত। ম্যাচটা ড্র হলেই ব্রাজিল প্রথমবারের মতো ঘরে তুলবে বিশ্বকাপ—এই যখন সমীকরণ, শেষ লড়াইয়ে হৃদয় ভেঙে গেল ব্রাজিলিয়ানদের৷ উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে ব্রাজিলের স্বপ্নভঙ্গ। ওটা শুধুই একটা হার িছল না, সেদিন কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন ফুটবল মহাতারকা পেলের বাবাও।
লাখো জনতার স্রোতে সাম্বার উৎসব থেমে গেল৷ ব্রাজিলিয়ানদের চোখে খলনায়ক হয়ে যান আলসিডেস ঘিগিয়া, যাঁর জয়সূচক গোলে উরুগুয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ নিজের করে নেয়৷ ব্রাজিলিয়ানদের কাছে সেই ট্র্যাজেডির অন্য নাম হয়ে যায় ‘মারাকানাজো’৷
এবার কি এমন কিছু ঘটবে? কী মনে করছেন ১৯৫০-এর ওই ম্যাচের একমাত্র জীবিত খেলোয়াড় ঘিগিয়া? ৮৬ বছর বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ঘিগিয়া তেমন সম্ভাবনা নাকচই করে দিচ্ছেন, ‘নতুন কোনো মারাকানাজো হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ তাঁর কণ্ঠে বরং উল্টো সুর, ‘আমি আশা করি ব্রাজিল এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। নিজেদের মাটিতে জয়ের আনন্দটা যেন তারা উদ্যাপন করতে পারে।’
উরুগুয়ে এবার ফাইনালে উঠলে সেটি হবে বড় চমকই৷ তবে ব্রাজিলকে ফাইনালে দেখছেন অনেকেই৷ ১৯৫০ সালের সেই ব্রাজিল-উরুগুয়ে ‘ফাইনালের’ সম্ভাবনাও ক্ষীণ৷ ঘিগিয়াকে হয়তো বাড়িতে বসে টিভির সামনে স্নায়ুর পরীক্ষা দিতে হবে না!