মাজে নারী ও শিশুরা বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, চাকরি, সম্পদ বণ্টন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্যের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম (৪র্থ পর্যায়)’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, বাংলাদেশের সমাজে কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা রয়েছে। অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তবতাও সমাজে চালু রয়েছে। যে কারণে শিশু ও নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
বৈষম্যগুলো শনাক্ত করা গেলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
নারী ও শিশুদের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ শিশু ও নারীদের লোভ দেখিয়ে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র, চোরাচালান, মাদক বহন করতে বাধ্য করছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
নারীকে কুসংস্কার, কুপমণ্ডুকতা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে সব তথ্য কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মানবাধিকার পরিপন্থি। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যেন এসব অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকেন সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা তথ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইনু বলেন, আপনারা মাঠ পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন। জনগণকে সংবিধানের চার মূলনীতি সম্পর্কে জানাবেন।
সরকারের কোনো সমালোচনা, জনগণের দাবি-দাওয়া বা সরকারের কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জনগণের মতামত কিছু দিন পরপর প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে সব তথ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তথ্যমন্ত্রী।
বক্তব্য শেষে দু’দিনব্যাপী ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম (৪র্থ পর্যায়)’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত তথ্য সচিব এস এম হারুণ অর-রশিদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট সেকশনের চিফ ন্যান্স ওয়েবার বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ৬৮টি তথ্য অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।