ঢাকা: সংলাপের পাল্টা গোলা জনগণের মাথায় ঠেকলে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে মন্তব্য করে অচিরেই নির্বাচন দিতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে পছন্দ করেনি। তারা আগেও সংলাপের তাগিদ দিয়েছে, এখনও দিচ্ছে।
তারা অনাদিকাল সংলাপের কথা বলে অপেক্ষা করবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, সংলাপের প্রস্তাবের গোলা যদি পাল্টা দিক থেকে এসে জনগণের মাথায় ঠেকে তাহলে সে ধাক্কা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। কারণ, গণতান্ত্রিক শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নাই। কাজেই অচিরেই নির্বাচন হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে বসে থাকার সময় জনগণের হাতে নেই।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ‘স্বঘোষিত সরকার’। ৫ জানুয়ারি ইলেকশন হয়নি, সেটা ছিল সোকলড সিলেকশন। কারণ, ৯৫ শতাংশ মানুষ বর্জন করলে কোনোভাবে তাকে ইলেকশন বলা যায় না।
বিএনপি পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে জিয়া পরিবার বিস্তৃত। তিনজনকে ধ্বংস করলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে, এটা যারা ভাবেন- তারা ‘মহাবেকুব’। এ পরিবারকে আঘাত করলে পাল্টা আঘাত আসবে।
সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়াকে ব্যঙ্গ করে বলেন, জামায়াত-শিবির ‘জামাল গোটা’। পুরো জামায়াত-শিবির যোগ দিলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবো। কারণ, পরদিন পত্রিকায় দেখবেন আওয়ামী লীগ নেই।
দেশপ্রেমিক যুব শক্তি আয়োজিত ‘জিয়া পরিবারকে নিয়ে মিথ্যাচার এবং বর্তমান বিতর্কিত সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে এ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যতো তাড়াতাড়ি পারেন সংকটকালীন সময় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে আগামী দিনে আপনাকে মূল্য দিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আহসানুল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমতুল্লাহ, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ।