১৯৯৮ সালের পর বিশ্ব আসরে জয় শূন্য ইরান ও নাইজেরিয়া। ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান চেয়েছিল দুটি দলই।
‘এফ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তরণে দুই ফেভারিট আর্জেন্টিনা ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। এই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট না পাওয়ায় ইরান ও নাইজেরিয়ার পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ আরো কঠিন হয়ে গেল।
দুই দলের রক্ষণাত্মক ফুটবল মেনে নিতে পারেনি মাঠে উপস্থিত ৩৯ হাজার দর্শক। মাঠ ছাড়ার পর দুই দলকেই তাদের দুয়ো শুনতে হয়েছে।
সোমবার কুরিচিবার আরেনা দা বাইশাদা স্টেডিয়ামে তৃতীয় মিনিটেই প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল নাইজেরিয়া। বাঁ দিক থেকে কাটিয়ে বক্সে ঢুঁকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ভিক্তর মোসেস। কিন্তু সরাসরি গায়ের দিকে আসা বলটি ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি গোলরক্ষক আলীরেজা হাঘিঘির।
সপ্তম ও নবম মিনিটে ‘সুপার ঈগল’ নামে পরিচিত নাইজেরিয়ার আরো দুটি আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায় ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। ওগেনি ওনাজি, আহমেদ মুসা ও মোসেসদের আক্রমণের প্রাথমিক ঝাপটা সামাল দেয়ার পর পাল্টা আক্রমণে যায় ইরান।
দুই দলই রক্ষণ ঠিক রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করায় তেমন কোনো পরিস্কার সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। এর মধ্যেই ৩৪তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগটি পায় ইরান। কিন্তু রেজা ঘুচানেজাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনিয়েমা।
প্রথমার্ধের বাকি সময়টুকুতেও আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দল দুটি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০তম মিনিটে ঘুচানেজাদের একটি শট বারের ওপর দিয়ে চলে গেলে সুযোগ নষ্ট হয় ইরানের। ৬৩তম মিনিটে ৪০ গজ দূর থেকে তিনি আচমকা শট নিলেও ফেরাতে কোনো কষ্ট হয়নি এনিয়েমার।
ইনজুরি সময়ে দারুণ একটি সুযোগ পায় নাইজেরিয়া। কিন্তু শোলে অ্যামেওবি সেই সুযোগটি নষ্ট হওয়ায় গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।
১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে নিজেদের জাল অক্ষত রাখল ইরান।