ডাঃ আওরঙ্গজেব কামাল/আরঃ দলীয়করন ও চিকিৎসকদের সেবা মুলক মানষিকতার অভাবে বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাস্থ্য সেবার মান ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় সময় দেখাযায় চিকিৎসকরা রোগীদেখা বাদ রেখে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সময় দিচ্ছেন। শুধু ডাক্তারদের ফ্রি স্যাম্পল এবং উপঢৌকন এর জন্য। এসব বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে উৎপাদিত ওষুধের প্রচার প্রসার করার লক্ষ্যে খুমেক হাসপাতালের ডাক্তারদের দ্বারস্থ হয়। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী চায়, গুনগত মান যায় থাক ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনের তালিকায় যেন তাদের ওষুধের নাম লেখা হয়। অনেক সময় হাসপাতাল ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রিপ্রেজেন্টিভরা দাড়িয়ে থেকে রোগীদের থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তা পরোক্ষ করেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তীব্য প্রতিযোগীতা রয়েছে। বর্তমানে ফ্রি স্যাম্পলসহ উপঢৌকনের পরিমান যাদের যত বেশী সেই কোম্পানীর ওষুধ তত বেশী লেখা হয় বলে প্রবাদ হয়েগেছে বল্লেও চলে। বর্তমানে খুমেক হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকরা ওষুধের মান যাচায় না করে শুধু উপঢৌকনের বিনিময়ে যেন তেন কোম্পানির উৎপাদিত ওষধ তাদের ব্যবস্থা পত্রে লিখে রোগিদের হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উছেছে। একাধিক সুত্রথেকে জানাযায়,খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তারা তাদের ব্যাবস্থা পত্রে কিছু নিন্মমানের ওষুধ লেখেন যে ওষুধ খেয়ে রোগ নিরাময় তো দুরের কথা আরও ঐ রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয় । ফলে রোগীরা চিকিৎসক ও ওষুধের উপর আস্তা হারিয়ে ফেলে । এ থেকে এক দিকে যেমন রোগীরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয় তেমনি আর্থিক ক্ষতির শিকার হয় । আর ওষুধ কোম্পানি গুলি নতুন একটি ব্যান্ড বাজারে ছেড়ে চিকিৎসকদের ঐ ওষুধ এর গুনগত মান ঠিক আছে কিনা সেটা প্রয়োগ করে দেখার জন্য কিছু ফ্রি স্যাম্পল দেয় । কিন্তু চিকিৎসকরা যখন সেই ফ্রি স্যাম্পল নিজেরা ওষুধের দোকানে বিক্রয় করে দেয় তকন ওষুধের মান যাচায় করবে কিভাবে? মুলকথা ওষুধ যা হোক ফ্রি স্যাম্পল যায় কোথায়? তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা ওষুধের ফ্রি স্যাম্পল ব্যাগ ভর্তি করে ওষুধের দোকানে বিক্রি করে দেন। ঐ ওষুধ এর মুল্য একটু কম থাকায় ব্যবসায়ীরা লোভনীয় ভাবে সেটা ক্রয় করেন । ব্যবসায়ীরা ‘অনলি ফর ফিজিশিয়ান’ মোড়কটি ফেলে দিয়ে ওষুধ মূল প্যাকেটে ভরে রাখেন। এমনকি ডাক্তারদের যে কলম-প্যাড দেয়া হয় তাও বিক্রির জন্য বাজারে চলে যায়। এ অবস্থায়, কোম্পানীগুলো যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে ডাক্তারদের ফ্রি স্যাম্পল দিচ্ছে তা কার্যত ব্যাহত হচ্ছে। ওষুধের ফ্রি স্যাম্পল থেকে গরীব-দুঃস্থ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে পেশাগত নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যএকটি সুত্র থেকে জানাযায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিছু কিচিৎসক ও নাস রয়েছে যারা এমন সব ওষুধ লিখে দেয় যা শুধু তাদের নিদিষ্ট দোকানে ছাড়া পাওয়া যায়না। এই সব দুকানে এমন সব ভারতীয় ওষুধ রয়েছে যা অনন্য কোন দোকানে পাওয়া যায়না। এক আসাদ নামের এক রোগী জানায় মাত্র ৪৫ টাকার ভারতীয় মুল্য লেখা একটি ওষুধ আমার কাছথেকে ৯শ টাকা রেখেছে। এমনি ভাবে প্রতিনিয়ত অংশক রোগীর আতœীয় সজনদের হয়রানী হতে হয়। এছাড়া যদি কোন রোগীর অপারেশন করানোর প্রয়োজন হয় তাহলে ঐ রোগীর আতœীয় স্বজনদের নিকটে হাসপাতালে কর্তব্যরত নাসরা বেশী দামী অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে রোগীর নিকট থেকে ভিন্ন পন্থায় অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের সামনের প্রতিটি ওষুধের দোকানের নিজিস্ব দালাল রয়েছে। যাদের দিয়ে হাসপাতালের সরকারী ওষুধ ও ডাক্তারদের ফ্রি স্যাম্পল ঐ সব দোকানদার সংগ্রহ করে। এছাড়া ডাক্তারদের যাবতীয় ব্যাবস্থাপত্রে সংগ্রহ করে নিজ নিজ ওষুধের দোকানে নিয়ে যায়। এদের সাথে ডাক্তারদের চুক্তি রয়েছে বলে একাধিক সুত্র থেকে জানাযায়। কিন্তু এদের প্রতিহত করবে কে? চিকিৎসকদের এই সব নানা বিধ কর্মকান্ড জনসাধারনের মধ্যে আতঙ্ক স্মৃষ্টি করছে । ফলে ভাল মানের কোম্পানির ওষুধ চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে লিখলেও রোগীরা তা গ্রহণ করতে দ্বিধাদন্দে ভোগে। এখন আর রোগীরা খুব বিপদে না পড়লে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে যেতে চায়না। সচেতন মহলের দাবী খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের যেন সেবামুলক মানুষিকতা বিনিষ্ট না হয় । সাধারন রোগীরা যেন হয়রানীর শিকার না হয়।