আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউএনওর মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে উঠার কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, ইউএনও আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ যোগদানের পর থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান জামায়াতের মাজেদুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলায়মান সাজা মামলা জনিত কারণে গত ২৮ এপ্রিল শপথ নিতে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যলয়ের সন্নিকটে গ্রেফতার হন। কিন্তু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেপি (মঞ্জু) সমর্থিত রেজিয়া বেগম যথা সময়ে শপথ নিলেও অদ্যবধি তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এদিকে ইউএনও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশার সাথে পরামর্শক্রমে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক ডাকলেও গত ২ মাস থেকে তা স্থগিত করে দেন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এব্যাপারে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন জানান, ইউএনও উপজেলা পরিষদ আইনের বিধিমালা বার-বার উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদের বৈঠক ডাকলে তা তিনি মেনে নিতে পারেন না। ইউএনও আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ জানান, মাননীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার হাতে পাওয়ায় আহ্বানকৃত উপজেলা পরিষদের পর-পর ২টি মাসিক বৈঠক স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে উপজেলা পরিষদের পর-পর ২টি মাসিক সমন্বয় সভা না হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত এডিপির ৪২ লক্ষ টাকাসহ অন্যান্য বরাদ্দ ফেরত যাচ্ছে। এতে উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।