স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন তারেক সাঈদ

sayed_SM_1_749673000নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় গ্রেপ্তার চাকরিচ্যুত র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদকে ৬ দফায় ৩২ দিনের রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে আনা হয়েছে। বিচারকের খাস কামরায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হচ্ছে। 

বুধবার সকালে তাকে নার‍ায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন কমকর্তা। 

ইতোমধ্যেই তাকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হচ্ছে। এর আগে ৬ দফায় ৩২ দিনের রিমান্ড শেষ হয় মঙ্গলবার।

ওই পুলিশের কমকর্তা জানান, সকাল ৯টায় তারেক সাঈদকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ দিনের রিমান্ডে সাঈদ বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের খাস কামরায় তারেক সাঈদকে নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে তারেক সাঈদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়ায় আরিফ হোসেন ও এম এম রানা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা জবানবন্দিতে সাত খুনের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দু’টি করে বস্তায় বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *