চূড়ান্ত বাজেটে বিশেষ সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে কৃত্রিমভাবে বাজারে বিক্রয় চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণে গত দুই কার্যদিবস ধরে মূল্যসূচক কমছে। এ ছাড়া দৈনিক লেনদেনও তুলনামূলক কমছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও কমেছে মূল্যসূচক। তবে কম দরে শেয়ার কেনার জন্য ক্রেতাদের আগ্রহ তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৬৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২০৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ৩৬,০১০ টাকা। চূড়ান্ত বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর শেয়ার লেনদেন হতে উৎসে কর ও স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার লেনদেন হতে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ডিএসই। আর চূড়ান্ত বাজেটে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। চূড়ান্ত বাজেটে যাতে দাবি পূরণ করা হয় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে বাজারে বিক্রয় চাপ সৃষ্টি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানের করপোরেট করা কমানোর দাবি পূরণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকেও বিক্রয়চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে ফেলে দেয়া হতে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহসভাপতি আক্তার হোসেন সান্নামত বলেন, বাজেটকে কেন্দ্র করে অনেকে অপেক্ষমাণ। যে কারণে অনেকে পুরো সক্ষমতা অনুযায়ী লেনদেন করছেন না। অনেকে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এ কারণে লেনদেনে একটু ভাটা চলছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮২৮৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২০৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ১৪৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ার দর। টাকার পরিমাণে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। রোববার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে সোমবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৪ লাখ টাকা।