আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মোঃ এহছানে এলাহী বলেছেন, তুমি-আমি এবং আমি-তুমি-এর সম্পর্ক সমান হওয়া উচিত। সহধর্মীনি অসুস্থ্য থাকা মানে স্বামী ও সন্তানসহ গোটা পরিবার যেন অসুস্থ্য। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় গাইবান্ধা অঞ্চলে নারী শিশুর মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশী। প্রথমে নারীদের স্বাবলম্বী করতে হবে। তবেই নারী সমাজের সার্বিক জীবন জীবিকার অগ্রগতি ও উৎকর্ষতা বাড়বে। মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের পিছনে ফেলে দেশ-দশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্ট (ইউজেডজিপি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতা এবং উপজেলা পরিষদের আয়োজনে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত নারী উন্নয়ন ফোরাম (ডাব্লিউডিএফ) গঠন বিষয়ক কর্মশালার প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাওছার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম লেবু’র সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের প্রতিটি স্তরে নারীদের আধিক্য আরো বাড়াতে হবে। অর্থনৈতিক ভাবে নারীদের উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ে সচেতন সকলকে আরো সোচ্চার হতে হবে। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আবু তালেব মাষ্টার, কোহিনুর আক্তার শিফন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোঃ শামছুজ্জামান, থানা অফিসার ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী, প্রেসক্লাব সভাপতি মন্জুর কাদির মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সুজা ও রোজিফা আক্তার মিনা ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন সমূহের মহিলা জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। দ্বিতীয় পর্বে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠন করা হয়। নির্বাচনে মোছাঃ কোহিনুর আক্তার শিফন সভাপতি, মোছাঃ এমিলি বেগম সহ-সভাপতি, মোছাঃ আসমা বেগম সাধারণ সম্পাদক, মোছাঃ রোকেয়া বেগম কোষাধ্যক্ষ ও কার্যকারী সদস্য পদে মোছাঃ নূরুনাহার বেগম, মোছাঃ রমেলা বেগম, মোছাঃ মোর্শেদা বেগম, মোছাঃ হাসিনা বানু, মোছাঃ জাহানারা বেগম, মোছাঃ আলেফা বেগম ও মোছাঃ মাসুমা আকতার নির্বাচিত হয়।