বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে খালেদা জিয়ার সাথেই আলোচনা করতে হবে।”
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত ‘সারাদেশে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও সংকটের আবর্তে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
‘বিএনপিকে সংলাপে আসতে হলে সরকারকে আগে বৈধতা দিতে হবে’ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তারা নিজেদের অবৈধ বলে শিকার করে নিয়েছে। কিন্তু দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে অবৈধ সরকারের সাথেই আলোচনা করতে হবে। আমরা অবৈধ সরকারের সাথেই আলোচনা বসতে রাজি আছি।”
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিলম্ব করবেন না। অপহরণ, গুম ও খুন বন্ধ করে সুস্থ মন নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসুন। অসুস্থ মন নিয়ে আলোচনা আসবেন না। আসুন গণতন্ত্র রক্ষা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করি।”
তিনি আরো বলেন, “সংলাপ, আলোচনা ও সমঝোতার মধ্যে দিয়ে আমরা নির্বাচন চাই। কারণ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।”
অভিযোগ করে তিনি বলেন, “পুলিশ প্রশাসন সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ মদদে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুম ও খুন করা করছে। অপহরণ, গুম ও খুনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, ১৯ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করা।”
রাজনৈতিক স্বার্থে ও ক্ষমতায় থাকতে সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন ছাড়াই বিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “বিএনপি ইচ্ছে করে রাজপথের আন্দোলনে যায়নি। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজপথে যেতে বাধ্য হয়েছে।”
পদ্মাসেতুর টেন্ডার প্রসঙ্গে মির্জা আলমগীর বলেন, “ক্ষমতাসীন দল চীনের সাথে পদ্মা সেতুর চুক্তি করেছে। কারণ বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চুক্তি করলে তারা চুরি করে নিজেদের পকেট ভারী করতে পারবে না।”
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুর সভাপতিত্বে গোল টেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক পার্টির সভাপতি আব্দুল মবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সংগঠনের মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।