সংসদের ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে বসে ঘুমানোর অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের আসন পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। তার পরিবর্তিত আসন হয়েছে দ্বিতীয় সারিতে। আরো বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যেরও আসন পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সংসদ সদস্য তাদের আগের আসন থেকে খানিকটা এগিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংসদ অধিবেশন চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়ার অভিযোগ অনেকের বিরুদ্ধেই আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং আরেক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগী। আরো কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্যের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সমালোচনাও হয়েছে।
বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। আর তার নির্দেশেই সাহারা খাতুনকে সংসদে সামনের সারির আসন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পেছনে দ্বিতীয় সারিতে। আর তার জায়গায় আসন দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে।
শাসক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই সাহারা খাতুনকে সংসদের প্রথম সারির আসন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘুমের যন্ত্রণায় সামনের সারির আসনটিও ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। জীবনে অনেক কিছুই হারানোর পাশাপাশি সংসদের সামনের সারির আসনটিও হারালেন তিনি।
আসন পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার (সাহারার) আসনটি ওখানে না রাখার জন্য বলেছে। কিন্তু কেন তার আসন পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে- তা জানি না। প্রথম সারিতে তার আগের আসনটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দেয়া হয়েছে।
এ দিকে বিনা কারণে আগের আসনটি হারিয়েছেন টাঙ্গাইল সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন। আগে তিনি ছিলেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পেছন বরাবর শেষের সারির আগের লাইনে। তার জায়গায় এসেছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আমিনুর রহমান খান রানা। আর তার আগের আসনটি দেয়া হয়েছে সানোয়ার হোসেনকে।
বাকিদের সবার আসনই এগিয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ, শামীম ওসমান, জাহিদ আহসান রাসেল, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী ও অ্যাডভোকেট নুরজাহান মুক্তা এবং জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, মাহযাবিন মোরশেদ প্রমুখ।