২০১৪ সাল শুরু হয়েছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের ব্যর্থতা দিয়ে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। ঘরের মাঠে টানা ৯টি ওয়ানডেতে হার প্রশ্ন তুলছে তার অধিনায়কত্ব নিয়েও। গতবছর একটি সিরিজে ব্যর্থতার পর অধিনায়কত্ব ছেড়েও দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার উপরই আস্থা রাখে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশকরা আকাশে উড়তে থাকা মুশফিক বাহিনীকে আকাশ থেকে মাটিতে নামায় শ্রীলঙ্কা। সেই থেকে শুরু নিম্নমুখী পতন। ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া শেষ ম্যাচর পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন। গতবছরের মতো অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়া নিয়ে এবারও কিছু ভাবছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আসলে সেবার অধিনায়কত্বটা ছেড়ে দেয়া ছিল আমার ভুল সিদ্ধান্ত। অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়টা আসলে বোর্ডের। বোর্ড যদি মনে করে যে, দলে আমার চেয়ে বেশি যোগ্য কেউ আছে, যাকে দিয়ে দলের উপকার হবে তাহলে আমি ছেড়ে দেবো, আমার কোন সমস্যা নেই।’ এছাড়াও ভারতের বিপক্ষে সিরিজটি বাজেভাবে হারলেও এই সিরিজটিতে কিছু প্রাপ্তিও ছিল। এই বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘সিরিজ হারলেও আমাদের পেসাররা বেশ ভাল করেছে। বিশেষ করে অভিষিক্ত তাসকিন ছাড়া আল-আমিন ও মাশারাফি ভাইও বেশ ভাল করেছেন।
আমাদের বোলিং আক্রমণটাই প্রাপ্তি হিসেবে দেখা যায়।
ব্যর্থদের পাশেই মুশফিক!
দলের অধিনায়ক তো তার সতীর্থদের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বারবার ব্যর্থদের বোঝা বহন কতটা যৌক্তিক তা হয়তো জানা নেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের। যতবারই দলের ব্যর্থ তারকাদের বাদ দেয়ার প্রসঙ্গটি উঠেছে ততোবারই তিনি তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল এখন ধারাবাহিকভাবেই ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে তার সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু তারপরও দলে ওপেনার হিসেবে শামসুর রহমান শুভ থাকলেও তাকে একাদশে নেয়া প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘শামসুর আমাদের ব্যাকআপ ক্রিকেটার ছিল। তামিম হয়তো ওর মতো খেলতে করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়েছে আরও একটা সুযোগ ওর প্রাপ্য। এ ছাড়া এনামুল সেরা খেলোয়াড়। এই সিরিজে হয়তো দু’টো ম্যাচ খারাপ খেলেছে। সাকিব ভাল খেলছিল। আমরা ভেবেছিলাম তামিম ও এনামুলের কম্বিনেশনটা ভাল হবে। এ কারণেই আজকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচে তামিমকে সুযোগ দেয়া।’ এর আগেই দলে ভাল করতে না পারা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাদপড়া নিয়েও তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে। তখন দল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে মুশফিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে দল নির্বাচনে আসলে মুশফিকুর রহীমের প্রভাব সব চেয়ে বেশি। একাদশ নির্বাচনে আরও বেশি প্রভাব ও ইচ্ছা থাকে এই অধিনায়কের। ভারতের বিপক্ষেই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ; প্রথম ম্যাচে খারাপ করার পরপরই একাদশ থেকে বাদ পড়েন উদীয়মান তারকা মুমিুনুল হক সৌরভ। কিন্তু তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ ও নাসির হোসেন ক্রমাগতভাবে ব্যর্থ হলেও তারা একাদশে ছিলেন বহাল তবিয়তে।