নলডাঙ্গায় গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত কর্মসূচীর অধীনে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পাধীন একটি সড়কের মাটি কাটার কাজে সংশিষ্ট কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ব্যাপক অনিয়ম, দূুুর্ণিতী ও ঘাপলাবাজির আশ্রয় নিয়েছেন বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশিষ্ট সূত্রে ও এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, গাইবান্ধার সাদুলাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউ.পির গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত কাজের বিনিময়ে টাকা, প্রকল্পের আওতাভূক্ত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে অত্র ইউনিয়নের নলডাঙ্গা-সাদুলাপুর পাকা সড়ক সংলগ্ন দশলিয়া মৌজার আঃ সামাদের বাড়ি হইতে মনজিল খন্দকারের বাড়ী পর্যন্ত সড়কটিতে মাটি কাটার কাজের বিপরীতে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮ শত ৬০ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সংশিষ্ট উপজেলার দশলিয়া গ্রামের মৃত. মতিয়ার রহমানের ছেলে আহম্মদ আলী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পৃষ্ট পোষকতায় সরকারি সকল দিক নির্দেশনা ও নিয়ম নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করে প্রকল্পধীন সড়কটিতে শুধূু মাত্র লোক দেখানো দায়সারা গোচের নাম মাত্র যেনোতেনো ভাবে মাটি কেটে বরাদ্দকৃত অর্থের যৎসামান্য ব্যয় করে কাগজ কলম ঠিক রেখে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাই আতœসাতের হীন মানসে তা ভাগ বাটোয়ারা করে নিজের পকেট ভারী করার পায়তারা করছেন। এ পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের সচেতন কিছু সংখ্যক লোকের স্বাক্ষরিত এতদ সংক্রান্ত একখানা অভিযোগ সংশিষ্ট মন্ত্রানালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুসারে প্রকল্পাধীন সড়কে কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সাইনবোর্ড ঝুলানো নিয়েও লুকোচুরী খেলেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে সাইনবোর্ডটি কখনো কখনো ঝুলানো হয় আবার কখনো কখনো রহস্য জনক ভাবে নামিয়ে রাখা হয়। এমন লুকোচুরী নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে নান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে এহেন অনিয়ম ও দূর্ণীতি নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিকে কেউ কিছু বললে তিনি বীর দর্পে বলেন এটি এম.পি সাহেবের বরাদ্দের কাজ। সেহেতু এখানে কোন আজে বাজে কথা বলে লাভ হবে না। বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে সড়কটির কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও তদারোকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সব কিছু জেনে শুনেও অজ্ঞাত কারনে না দেখার ভান করে লোক দেখানো পরিদর্শন করে তরিঘড়ি করে চলে যান। আনীত অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তকর্তার সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।