ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে৷ এদিকে আজ বুধবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দুিট নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা৷
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মো. নুরুল ইসলাম, বিএনপি-সমর্থিত মাহবুব হাছান এবং স্বতন্ত্র সাঈদ উদ্দিন খান ও আজিজুল হক৷
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মিন্টু রঞ্জন সাহা, বিএনপি-সমর্থিত সফিকুল ইসলাম এবং শাহিন আহামেদ ও মনিরুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত জলি আক্তার এবং দরিকান্দি ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সনি আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি৷
বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব হাছান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন৷ তাঁরা প্রচার চালাচ্ছেন, এক ভোট পেলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে৷ আওয়ামী লীগের আমলে যে কিট নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে৷ এবারও তাই করবে তারা।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাঈদ উদ্দিন খান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন৷ তবে সরকারি দলের লোকজন ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে ফেলবে বলে আমরা খবর পেয়েছি।’
নুরুল ইসলাম দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর অবস্থান ভালো না থাকায় তিনি এসব কথা বলছেন৷
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ ছাল্লাল বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে৷ কোনো দলের লোকজন অন্য দলের নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে—এ ধরনের কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি৷
নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একজন ও বিএনপির দুজন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত পৌরসভার ১৯টি এলাকার ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মাইন উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে ভয়ে আছি। উপজেলা নির্বাচনে ভোট নিয়ে যে অবস্থা হয়েছে, এবার একই অবস্থা হলে মানুষ আর প্রার্থী হবে না।’ অপর প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, তারা নির্বাচন নিয়ে কী করতে চায়, সেটাই দেখার বিষয়। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমির্থত প্রার্থী হলেন পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম মনিরুজ্জামান।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে।