চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগে সাত পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আহমেদ সাঈদের আদালতে মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী শিমু আক্তার। আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন নগরের পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন, বাকলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত হোসেন, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, মো. মুসলেম, খোকন মিয়া, শাহিনুর আলম, আকবর, পুলিশের সোর্স জামাল ও হুমায়ুন কবির এবং স্থানীয় হারুন অর রশিদ ডিউক।
বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে আসামিরা কিল-ঘুষি মেরে ব্যবসায়ী রুকনুজ্জামানকে হত্যা করেছেন বলে মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এসআই আমির হোসেন বাদীর স্বামীকে নগরের বাকলিয়া এহসান সিটি এলাকার বাসা থেকে রাতে আটক করতে যান। এ সময় কোনো পরোয়ানা আছে কি না—জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখায় পুলিশ। পরে মারধর করে রুকনুজ্জামানকে গাড়িতে তোলে। সেখানে তাঁকে কিল-ঘুষি মারা হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়িতে লুটিয়ে পড়েন রুকনুজ্জামান। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে এসআই আমির হোসেন দাবি করে বলেন, পুলিশের গাড়িতে তোলার পর রুকনুজ্জামানকে কোনো ধরনের মারধর কিংবা নির্যাতন করা হয়নি।
১৮ জুন রাতে নগরের বাকলিয়া এহসান সিটি এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী রুকনুজ্জামানকে পাঁচলাইশ থানার একটি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। ঘটনার পর নিহতের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, পুলিশি নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ দাফন করা হয়।