অস্ট্রেলিয়ায় চার্জার ব্যবহারের সময় তড়িতাহত হয়ে পুড়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর পরই সস্তা ও অনিরাপদ চার্জারের বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
ল্যাপটপ ও সম্ভবত স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়ে ওই তরুণী মারা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গত এপ্রিলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ এই প্রথম অনিরাপদ চার্জারের বিষয়টি গণমাধ্যমে স্বীকার করলো।
সিডনির উত্তরাঞ্চলে গসফোর্ডে তড়িতাহত হয়ে ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর বুক ও কান পুড়ে যায়। মৃত্যুর সময়ে তার হাতে ল্যাপটপ ও কানে হেডফোন ছিল।
ফিলিপাইনের এ তরুণী সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ফেয়ার ট্রেডিং ডিপার্টমেন্টের লিনলি কলিন্স বলেন, ওই সময়ে ফোনটি ইউএসবি স্টাইলের চার্জারে প্লাগ-ইন করা ছিল। যেকোনভাবেই চার্জারের মাধ্যমে তার শরীরে বিদ্যুৎ চলে আসে। এ সময়ে ফোনটি বোধ হয় তার কানে কিংবা হাতে ছিল।
তরুণীর মৃত্যুর তদন্ত কাজে পুলিশকে সহায়তাকারী ফেয়ার ট্রেডিং নিম্নমানের ও অনিরাপদ ইউএসবি স্টাইলের চার্জার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।
কলিন্স বলেন, অনেক সময়ই লোকজন ফোন চার্জের সময়ে কথা বলে। তা এড়িয়ে চলা উচিত। তবে অনুমোদনহীন চার্জার মোটেই ব্যবহার করা উচিত নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় চার্জারের কারণে কারো মৃত্যু এটাই প্রথম। এর আগে ২০১৩ সালে চীনে এক নারীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে চার্জারের কথা বলা হয়েছিল।