শিরোনাম পড়ে অনেকে অবাক হয়ে যেতে পারেন। হ্যা, অনেকটা অবাক করার মতোই কাজ হাতে নিয়েছে মংলা পৌরসভা। পৌরসভাকে ডিজিটালাইজড করার জন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ শহরকে অনেকটা উন্নত বিশ্বের শহরের আদলে প্রযুক্তি নির্ভর করে তৈরি করাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার ১৯ দশমিক ৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হচ্ছে একটি করে উন্নত মানের সাউন্ড সিস্টেম (মাইক)। এর মাধ্যমে মুহুর্তের সু-সংবাদ ও দুঃসংবাদ জানানো হবে।
এছাড়া পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা)। শহরকে ফ্রি নেটিজেনের আওতায় নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী রোজার প্রথমদিন থেকেই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন মংলা শহরবাসী -এমনটাই আভাস দিয়েছেন পৌর মেয়র। এ লক্ষ্যে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন প্রায় অর্ধশতকর্মী।
মংলা পৌরসভার ইউবিএ (উচ্চমান সহকারী) মো. শহিদুল ইসলাম পরিবর্তনকে জানান, একটি মডেল শহর হিসাবে খুব শিগগির আত্মপ্রকাশ করবে মংলা পৌরসভা। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি পয়েন্টে বসানো হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম (মাইক), যা পৌরসভার একটি বিশেষ কক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, প্রতিঘণ্টায় এখান থেকে সু-সংবাদ- দুঃসংবাদ, পাঁচ ওয়াক্ত আজান, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা, পৌর ঘোষণাপত্র ইত্যাদি প্রচার করা হবে। আর এর জন্য নির্ধারিত লোক নিয়োজিত থাকবেন। ২৪ ঘণ্টা এ বিভাগ খোলা থাকবে জনসাধারণের সচেতনার্থে।
শহিদুল ইসলাম আরো জানান, ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে আপাতত পৌরসভা ভবনের ৪০০ মিটারের মধ্যে শহরবাসী ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা পাবে। পর্যায়ক্রমে পুরো পৌরসভার নাগরিকরা ভোগ করবেন। এছাড়া শহরের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
এর জন্য নির্ধারিত স্থানগুলো হচ্ছে- চৌধুরীর মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, শ্রমিক সংঘের মোড়, কবরস্থানের মোড়, ময়লা পোতার মোড়, কলেজ মোড়, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোড়, শেহালাবুনিয়া বটতলা মোড়, বাটা খালেকের মোড়, সেন্ট পল্স হাসপাতালের মোড়, রাজ্জাকের মোড়, তাজমহল বিএলএস মোড়, মাদরাসা ব্রীজ মোড়, সুন্দরবন বোডিং মোড়, মাদরাসা মসজিদ মোড়, শাহাজাহান শিকারীর মোড়, টিএ ফারুকের মোড়, কুমারখালী ব্রীজের মোড়,আইয়ুব আলীর বাড়ির সামনে/সুনীল প্রিন্সিপাল সাহেবের বাড়ির সামনে, মিয়া পাড়া মোড়, সিঙ্গাপুরের ঘাট মোড়, থানার মোড়, কাউন্সিলর খোরশেদ বাড়ির মোড়, সিগনাল টাওয়ার মোড়।
মংলা পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী পরিবর্তনকে বলেন, “রোজার প্রথমদিন থেকেই মংলা পৌরসভার মানুষ এসব প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবে।”
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নগরবাসী পর্যায়ক্রমে উন্নত বিশ্বের শহরগুলোর ন্যায় সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।