খাবারের মান পরীক্ষায় আজ সোমবার রমজানের প্রথম দিন থেকেই সার্বক্ষণিক তদারকিতে নেমেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। রমজানজুড়ে এবার এই নজরদারি অব্যাহত থাকছে। বাসি খাবার যেন বিক্রি করা না হয়, সে জন্য আজ সব দোকানিকে সতর্ক করা হয়েছে।
চক বাজার এলাকায় পরিদর্শনে এসে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেলুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ প্রথম দিন আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিলাম। খাবার পলিথিন বা নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। পুরো রমজানেই এখানে আমাদের সার্ভিলেন্স থাকবে। খাবারে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই দলে আরও রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম, বিএসটিআইয়ের মান কর্মকর্তা জিয়াউল হক। মমতাজ বেগম বলেন, ‘ইফতারির বাজারের ফলে ফরমালিন বা ক্ষতিকারক দ্রব্য দেওয়া হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে বেশ কয়েকটি টিম কাজ করবে।’
ইফতারির মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাখাওয়াত হোসেন নামের একজন ক্রেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিপোর্ট করলে কোনো কাজেই আসে না। আগামীকালই এখানে বাসি ইফতারি বিক্রি হবে।’
চকবাজারের ইফতারি
চকবাজারে আজ দুপুরের পরেই জমে ওঠে ইফতারির বাজার। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দোকান বসেছে কম। পুরান ঢাকা ও আশপাশের দোকানিরাই এই বাজারের প্রধান ক্রেতা। মূল বাজারটি বসেছে চক মসজিদের সামনে। ঐতিহ্যবাহী ‘বড় বাপের পোলায় খায়’, পেঁয়াজু, শাহি জিলাপি, সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিকিয়া, মুরগি, কোয়েল, হাঁস, রাজহাঁস, খাসির রোস্ট আরও বাহারি নামের ও স্বাদের কাবাব বিক্রি হচ্ছে সেখানে। সঙ্গে রয়েছে বেগুনি, আলুর চপ, ডিমের চপ, ছোলা ও ঘুগনি। এসব খাবারের দামও অন্য এলাকা থেকে সস্তা। জোহরের নামাজের পর থেকেই এসব দোকানে কেনা-বেচার ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া চিজ লরেন্স, তালের রসভরি নামের দুধরনের খাবার এবার যুক্ত হয়েছে ইফতারির তালিকায়।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ইফতারি কিনতে এসেছেন আবুল খায়ের মেম্বার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এইখানে অরজিনাল ঢাকাইয়ারা খাবার বানায়। এ জন্য স্বাদ ঠিক থাকে। তাই দূর থ্যাইককা এখানে ইফতারি কিনতে আইছি।’ তিনি ঐতিহ্যবাহী সুতি কাবাবসহ আলুর চপ, সিঙ্গাড়া, সমুচা কিনবেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে।