বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত রায় হচ্ছে না বুধবার। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ২ জুলাই এই রায় ঘোষণা করার কথা ছিল।
সূত্র জানায়, সমুদ্রসীমা নিয়ে রায়ের জন্য আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এ মাসেই নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত (পিসিএ) এ মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছে সুত্রটি।
এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধের রায়ের মাধ্যমে সমুদ্রে একাংশের সীমানা পায় বাংলাদেশ।
অমিমাংসিত সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে মামলা চলার পর রায় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৮ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানান স্থায়ী সালিশি আদালত।
দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়। এছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। সালিশি আদালত দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক এবং মেমোরিয়াল ও কাউন্টার মেমোরিয়াল বিবেচনা করে রায় প্রকাশ করবেন।
রায় প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তি পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। রায় পেলেই বাংলাদেশ মহীসোপানে নিজস্ব এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন ঘোষণা করতে পারবে। জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের রায়ে বাংলাদেশ সুবিচার পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমা নির্ধারণের আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে বড় রকমের দ্বন্দ্ব শুরু হয় নব্বই-এর দশকের শুরুতে।
বঙ্গোপসাগরে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে এই বিরোধের সূত্রপাত। ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আইনে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশনে এই বিরোধ নিস্পত্তির জন্য মামলা করে বাংলাদেশ।