ধবার সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের মিত্র দলের নেতারাও বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনায় মুখর হন।
অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু বলেন, “জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও এরশাদ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ছিটমহল, ফারাক্কা, তিস্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমুদ্র সীমা নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে ওই সময় কোনো আলোচনা হয়নি।
“ছিটমহল নিয়ে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি, বাংলাদেশ সংসদে অনুমোদন পেয়েছিল। ভারতের সংসদ অনুমোদন দেয়নি বলে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করলে চলবে না।”
চার বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়।
“এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো ব্যর্থতা নেই,” বলেন আমু।
ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া নয়া দিল্লির সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।
আমু বলেন, “খালেদা জিয়া জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে এখন মিথ্যার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ক্ষমতায় থাকতে আসামের উলফার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিয়েছে। খালেদা জিয়ার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।”
জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল বলেন, “খালেদা জিয়া সব সময় মিথ্যা বলেন না, কথার ফাঁকে ফাঁকে সত্যি কথা বলেন। পত্রিকায় দেখেছি তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে, তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে না’।
“বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো থেকেই থাকে, তবে উৎপাত করছেন কেন? জনগণকে ভালো থাকতে দিন।”
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকার সময় ভারতে গিয়ে গঙ্গার ৩৪ হাজার কিউসেক পানিতে রাজি হয়েছিলেন। যেখানে বঙ্গবন্ধু ৪৪ হাজার কিউসেক দাবি করেছিলেন। বেগম জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আসলেও জামাতের হরতালের কারণে তার সঙ্গে দেখা করতে যাননি।”
“আপনাদের কূটনৈতিক বেয়াদবি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। আপনি (খালেদা) চুরি-দারি নিয়ে আছেন, ওটা নিয়েই থাকেন। কথা বলতেই থাকেন, থামিয়েন না। আপনার রাজনীতির দেউলিয়াত্ব প্রকাশ হয়ে গেছে।”