মোবাইলফোনে শিগগিরই চালু হচ্ছে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বারিং প্রযুক্তি। চুরি হওয়া মোবাইলফোনের অপব্যবহার ঠেকাতে এবং তা খুঁজে পেতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিঅারসি।
বার প্রযুক্তিতে হারিয়ে যাওয়া ফোনটি দূর থেকেই ব্লক করে দেওয়া যাবে। এতে করে ফোনটি আর ব্যবহার করা যাবে না, তবে এর অবস্থান সনাক্ত করা যাবে। ফোনটি হাতে পাওয়ার পর এর বৈধ মালিক চাইলে আবার ফোনটি চালু করতে পারবে।
এ প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে একটি গণশুনানি করার কথা রয়েছে বিটিঅারসির। কমিশনের ওয়েবসাইটে আইএমইআই বার-এর খসড়া প্রকাশ করে গণশুনানি করে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিঅারসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মওলা ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অাইএমইঅাই বার প্রযুক্তি চালুর বিষয়ে কাজ চলছে। কাজ শেষে এ ব্যাপারে সবাইকে জানাব।
সম্প্রতি আইএমইআই নম্বর নকল করার অভিযোগ উঠেছে। একটি আইএমইআই নম্বর ব্যবহার হচ্ছে ১০টিরও বেশি সেটে। এ চর্চা বন্ধে আইএমইআই বারিং করা হলেও তা সফল হবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা অাশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিমত, অাইএমইঅাই নম্বর নকল হলে তাতে এই ‘বার‘ প্রযুক্তি কাজ নাও করতে পারে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস বাংলাদেশ (অ্যামটব)-এর মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবীর বলেন, এটি চালু হলে মোবাইলফোনের ব্যবহারকারীরাই বেশি উপকৃত হবে। মোবাইল চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে আইএমইআই নম্বরটি জানিয়ে দিলেই অপারেটররাই সেটটি ব্লক বা আইএমইআই বারিং করতে পারবে।
তবে এটি চালু করতে বর্তমান টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সারা দেশে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো না থাকায় এ কাজে এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) অপারেটরদের সহযোগিতা নিতে হবে। কিন্তু এনটিটিএন অপারেটররা এখনও সারা দেশে তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেনি। আইএমইআই বারিং চালু করতে এনটিটিএন অপারেটরদের সিগন্যাল ব্যবহার করতে হবে।