কটিয়াদী-কিশোরগঞ্জ প্রকিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় এক মাসে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা গৃহ স্বামীকে জিম্মি করে চার বাড়ি থেকে বিশ লক্ষাধিযক টাকার মালামাল লুট করে। এতে এক মহিলাসহ দুই জন আহত হয়। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল ডাকাত উপজেলার কাঠালতলী গ্রামে প্রবাসী মুর্শিদ মিয়ার বাড়িতে অভিনব কায়দায় ডাকাতি সংঘটনকালে প্রবাসীর মেয়ে রোজিনা আক্তারকে কুপিয়ে আহত করে বসত ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ৫লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে। এ ঘটনায় আহত রোজিনা বেগমকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, ২৭ জুন শুক্রবার গভীর রাতে পরিতোষ চন্দ্র দাস নেপালের বাড়ীতে এক ডাকাতি সংঘটিত হয়। একই ইউনিয়নের গণেরগাও গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গত ২৩ জুন রাতে ডাকতির ঘটনা ঘটেছে। এর পূর্বে আদমপুর গ্রামের সুকেস বনিকের বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ নিযে এক মাসের ব্যবধানে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কাঠালতলী গ্রামের প্রবাসী মুর্শিদ উদ্দিনের বাড়ির বসত ঘরের চালের টিনের স্ক্রু খুলে অভিনব কায়দায় ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতরা রোজিনা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ও তাদেরকে জিম্মি করে ঘরের আলমারী ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। এদিকে গত ২৭ জুনের ডাকাতির ঘটনায় প্রবাস ফেরত গৃহ স্বামীর ছেলে অকুল চন্দ্র দাস (৩০) গুরুতর আহত হয়। পরদিন তাকেক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাকাত দল বাড়ির সবাইকে বেধে ষ্টিলে আলমারী ভেঙ্গে ০৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ২০ হাজার টাকা, ০৬টি মোবাইল ফোন সেট, ১টিপ চার্জার লাইট লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদ আলীর বাড়ি থেকেও ১ লক্ষ টাকা ও ৩ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাতরা। আদমপুর গ্রামের লুকেস বনিকের বাড়ি থেকেও ডাকাতড়া স্বর্ণালংকার কাপড়-চোপড়সহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। কিশোগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সৈয়দ আবু সায়িম, কটিয়াদী থানার ওসি হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা পুলিশ পরিদর্শক হাসান আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসব ঘটনার বিষয়ে পরিতোষ চন্দ্র দাস ও কাঠালতলী গ্রামের বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করে। কিন্তু গণেরগাও গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও আদমপুর গ্রামের লুকেস বনিকের বাড়ীর ডাকাতির ঘটনায় কোন মামলা নেয়নি পুলিশ। ইদানিং কটিয়াদীতে ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরণের মাত্রাভিত্তিক অপরাধ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কটিয়াদী থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পার্শ্বর্তী থানা সমূহ থেকে এস.আই মতিউর রহমান, এস.আই হুমায়ূন কবীরদের এনে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করেন কটিয়াদী থানা পুলিশ অনভিজ্ঞ বিধায় ভিন্ন থানার অফিসার এনে নিজেদের ঘটনা রহস্য উদ্ঘাটনের চেস্টা চালাচ্ছ্ েঅপর দিকে কটিয়াদী থানাও ভিন্ন থানার অফিসাররা ডাকাতদের গ্রেপ্তারের নামে অহেতুক লোক হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।