আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের ৫ম দিনে মৎস্য সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও গণসচেনতা সৃষ্টির লক্ষে রোববার জেলা মৎস্য ভবনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবির সমিতির সদস্য, মিডিয়া কর্মী ও মৎস্য বিভাগীয় কর্মকর্তারা এতে অংশ গ্রহণ করেন। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি গোবিন্দলাল দাস, জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা গোলাম জিলানী, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, মৎস্য চাষী সমিতির সাইফুল আলম দুলু প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় ফরমালিন কিংবা মৎস্য সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার ও জলাশয় সংরক্ষণে সচেতনতা বিষয়ে তথ্যমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয় দেশে আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে মৎস্য ব্যবহার করে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ। সে কারণে দেশের মাছের উৎপাদন অনুসারে মাথাপিছু বরাদ্দ ৫৬ গ্রাম মাছ। সেখানে উৎপাদন কম হওয়ায় এখন মানুষ মাথাপিছু ৫২ ভাগ মাছ পেয়ে থাকেন। আরও উলে¬খ করা হয় গাইবান্ধায় মাছের চাহিদা ৪৯ হাজার মেঃ টন। সেখানে মাছ উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২৭ হাজার মেঃ টন। এবছর জেলার মৎস্য বিভাগ অতিরিক্ত ২ হাজার মেঃ টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিল, নার্সারী প্রকল্প, অভয়াশ্রম, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৎস্য চাষীদের কাছে জলাশয় প্রদানের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মতবিনিময় সভায় উলে¬খ করা হয়।